‘বাংলার সামাজিক বিন্যাস সম্পর্কে ধ্যান ধারণাই নেই কমিশনের’, ভোট বিরোধিতায় কংগ্রেস

‘বাংলার সামাজিক বিন্যাস সম্পর্কে ধ্যান ধারণাই নেই কমিশনের’, ভোট বিরোধিতায় কংগ্রেস

3dffbff13845d67217ce1e7cbe814a68

কলকাতা:  পুজোর পর রাজ্যে চার বিধানসভা আসনে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ আগামী ৩০ অক্টোবর দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দা ও গোসাবা কেন্দ্রে ভোট হবে৷ ভোট গণনা হবে ২ নভেম্বর৷  মনোনয়ন পেশের শেষ দিন ৮ অক্টোবর৷ ১৬ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন৷ তবে পুজোর পর ভোট করায় নাখুশ কংগ্রেস৷

আরও পড়ুন- দায়িত্ব সামলানো সম্ভব নয়! বিজেপিকে ধাক্কা দিয়ে পদ ছাড়লেন সুমন

এ প্রসঙ্গে কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, পশ্চিমবাংলার সামাজিক বিন্যাস সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ ধ্যান ধারণা আছে বলে মনে হয় না৷ থাকলেও তা অত্যন্ত দুর্বল৷ তাঁদের বোঝা উচিত ছিল শারদীয় উৎসব বাংলা নয়, ভারতের অন্যতম উৎসব৷ সেই উৎসবের সময়ে কখনই নির্বাচন হয় না৷ এটা জানা সত্ত্বেও পুজোর মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করলেন কেন? তাদের উদ্দেশ্য কী? তিনি আরও বলেন, ৮ অক্টোবর থেকে মনোনয়ন পেশ করা শুরু৷ এদিকে, ১১ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু৷ এতে অসুবিধা হবে নাকি? তাঁর কথায়, যে সময় নির্বাচন করা হচ্ছে, সেই সময় ঢাকের আওয়াজ বন্ধ হবে না৷ মানুষ কী ভাবে তখন ভোট দিতে যাবে? তিনি বলেন, দলের তরফ থেকে নিশ্চিত ভাবেই নির্বাচন কমিশনকে সামান্য কিছুদিনের জন্য হলেও নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা হবে৷ 

আরও পড়ুন- কয়লা কাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতার, CBI-এর জালে লালার চার সঙ্গী

এ প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেন, কোনও বিধানসভা কেন্দ্রকে ৬ মাসের বেশি প্রতিনিধিহীন অবস্থায় রাখা যায় না৷ এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা৷ সে কারণেই দুটি ফেজে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন৷ ৩০ সেপ্টেম্বর ও ৩০ অক্টোবর ভোট হবে৷ নিশ্চিত ভাবেই সকলে পুজোয় আনন্দ করব৷ কোভিড বিধি মেনে পুজো হবে৷ পুজোর পর অনেকটা সময় পাওয়া যাবে৷ প্রায় ১৫ দিন সময় পাওয়া যাবে৷ সেই সময় নির্বাচন হলে অসুবিধা হবে বলে মনে হয় না৷

  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *