তৃণমূলকে কাছে টানতে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরানো হচ্ছে অধীরকে?

তৃণমূলকে কাছে টানতে লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরানো হচ্ছে অধীরকে?

কলকাতা:  মিশন ২০২৪! আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দিল্লি জয়ের নীলনকশা তৈরি করছে কংগ্রেস৷ এই লক্ষ্য ভেদে পদ খোয়াতে চলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী৷ লোকসভার দলনেতা পদ থেকে তাঁকে সরানো হতে পারে বলেই কানাঘুষো৷ 

আরও পড়ুন-  ‘তুষার বৈঠক’ প্রসঙ্গে ফের শুভেন্দুর গ্রেফতারি চাইলেন কুণাল

দিল্লির রাজনীতির অলিন্দে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই গুঞ্জন৷ কিন্তু কেন? রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, সামনেই লোকসভার বাদল অধিবেশন৷ আর এই অধিবেশনের আগেই দলকে চাঙ্গা করতে রদবদলের ছক কষছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী৷ তবে অধীরের ব্যক্তিগত ব্যর্থতা নয়, বরং তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত মজবুত করতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী৷ কারণ বরাবরই তৃণমূল সুপ্রিমোর প্রতি সুর নরম রেখেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড৷ অন্যদিকে, বরাবর চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে বিঁধে গিয়েছেন অধীর৷ 

২৪-এর লোকসভায় মোদী ঝড় রুখতে বিরোধী মুখ হিসাবে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরার পক্ষে৷ সেখানে অনেকটাই পিছিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী৷ তার উপর একুশের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে ময়দানে নেমেছিল বাম-কংগ্রেস জোট৷ তার ফল যেটা হয়েছে, তা বঙ্গ রাজনীতির ইতিহাসে এক অনাকাঙ্খিত অধ্যায়৷ অথচ কংগ্রেসেরই একটি লবি থেকে তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার প্রস্তাব উঠে এসেছিল৷ কিন্তু অধীরের নেতৃত্বে মোর্চা তৈরি হওয়ায় সেই জোট জল্পনা ভেস্তে যায়৷ অনেকেই মনে করছেন, মমতার সঙ্গে অধীরের চিরবৈরী মনোভাবের জন্যেই মুর্শিদাবাদেও জমি হারিয়েছে কংগ্রেস৷ 

আরও পড়ুন- টাকার জন্য রোগী আটকে এসএসকেএমে! অভিযোগ অস্বীকার কর্তৃপক্ষের

এদিকে ২০২৪-এর আগে তৃতীয় ফ্রন্ট গঠনের জল্পনা বাড়ছে৷ এতে লোকসান কংগ্রেসেরই৷ আবার মোদী বিরোধী মুখ হিসাবে ক্রমশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ জোড়াল হয়ে উঠছে৷ অন্যদিকে, লোকসভাতেও তৃণমূল বিরোধী বলেই পরিচিত অধীর৷ তাই লোকসভা ভোটের আগে মমতার সঙ্গে সম্পর্ক সহজ করতে সরানো হতে পারে অধীর চৌধুরীকে৷ আর তাঁর বিকল্প হিসাবে উঠে আসছে রাহুল গান্ধীর নাম৷ যদিও রাহুল এখনও এই বিষয়ে সম্মতি জানাননি বলেই সূত্রের খবর৷ তবে অধীরের জায়গায় রাহুল আসুক, তেমনই দাবি উঠছে কংগ্রেস শিবিরে৷   
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =