কলকাতা: সাঁইবাড়ি হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে একটি বিতর্কিত ফেসবুক পোস্ট দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই পোস্ট ঘিরে এখন বাম-কংগ্রেসের জোটে চিড় ধরার সম্ভাবনা প্রবল থেকে প্রবলতর হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিকাশ ভট্টাচার্যের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ। সেই প্রেক্ষিতেই কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে মেইল পাঠিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় যে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এখন ‘একলা চলো’ নীতি নিতে চলেছে কংগ্রেস শিবির।
মেইল করে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে যাতে সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ফের একবার বিবেচনা করা যায়। এক কথায় বাংলায় জোটের ভবিষ্যৎ কোন দিকে তা নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন চিহ্ন উঠে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। সাঁইবাড়ি নিয়ে মন্তব্য করার পর বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য সেই ব্যাপারে ক্ষমা চাওয়া তো দূর, কোন রকম অনুতাপ প্রকাশ করেননি। বরং তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন তিনি একেবারেই এই মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত নন। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস শিবির অপেক্ষা করছিল সিপিএমের তরফে বিবৃতি প্রকাশ পাওয়ার। কিন্তু সেই জবাব না আসায় এখন কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকে এই ব্যাপারে মেইল পাঠিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের একাংশ। স্বাভাবিকভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মন্তব্যে তারা প্রচন্ড অখুশি। বিকাশের মত সিপিএমের তরুণ নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ও এই ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন। তাই কংগ্রেস জানতে চেয়েছে যে এটি ব্যক্তিগত মতামত না দলীয় মতামত। যদিও আপাতত শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে যে মেইল পাঠানো হয়েছে তার উত্তর কী আসে সেই দিকে নজর সকলের।
উল্লেখ্য, গোটা ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, কংগ্রেস যদি মনে করে যে তারা চিঠি দেবে তাহলে দিতেই পারে। কিন্তু বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছে বলে কোন ঐতিহাসিক ঘটনা বদলে যেতে পারে না এমনটাই মনে করেন তিনি। তাই তাঁর স্পষ্ট দাবি, নিজের মন্তব্য বা অবস্থান থেকে তিনি কোনমতেই সরবেন না। তবে এই ঘটনা থেকে পরিষ্কার যে, আগামী দিনে বাংলায় কংগ্রেস এবং বামেদের জোট খুব একটা মসৃণ পথে যাবে না।