কলকাতা: রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে উত্তাপের পারদ ক্রমশ বাড়ছে। পরিস্থিতি যে আরও বেগতিক হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২০ জন গ্রেফতার হয়েছে। রাজ্যের ভূমিকা নিয়েও চরম অসন্তোষ রয়েছে বিরোধীদের মধ্যে। বিজেপি আগেই রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছিল। এবার গেল কংগ্রেস। রামপুরহাট কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করল তারা। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, বগটুই গ্রামে সিপিএম নেতা বিমান বসুকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। মহম্মদ সেলিম ঢুকে গেলেও বিমানকে বাধা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- গত দু’দশকে বাংলায় গণহত্যার বলি ৯১ জন, রামপুরহাট উস্কে দিল সেই ‘অন্ধকার’ স্মৃতি
জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মোট ৫ টি মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। রামপুরহাটের ঘটনাকে ‘শকিং’ বলে মন্তব্য করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। কংগ্রেসের মামলার আজই শুনানি হবে। ওদিকে রামপুরহাটে বাম প্রতিনিধিদলকে নিয়ে ঢোকার সময় বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেখানে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসা হয় তাঁর। বিমান মন্তব্য করেন, জনতার দরবারে এই ঘটনার বিচার চাইছেন তিনি। আজই বগটুই গ্রামে গিয়েছে সেলিম। এলাকা পরিদর্শন করার পর তিনি মন্তব্য করেন, বাড়ি গুলিতে যখন আগুন ধরানো হয় তখন বাইরে পুলিশ পাহারায় ছিল। তাদের সামনেই সবকিছু হয়েছে। এদিকে যে নব দম্পতি ‘খুন হয়েছে’ বলে দাবি সেই প্রসঙ্গে সেলিমের বক্তব্য, নানুর পুলিশ স্টেশন কাজির বাবার অভিযোগ নেয়নি। পাশাপাশি সরকারের তরফ থেকে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা জানানো হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
বগটুই গ্রামের পুড়ে যাওয়া বাড়ি এবং এলাকা পর্যবেক্ষণের পর সিট বলেছে, দুর্ঘটনা নয়, আগুন লাগানো হয়েছিল। কারা লাগিয়েছেন, তা তদন্ত করে দেখা হবে। কিন্তু এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সিটের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেন, প্রমাণ নষ্ট করতে পারে সিট! সেলিমের বক্তব্য, কেউ যাতে আগে থেকে প্রমাণ নষ্ট করতে না পারে তাই জন্য সিটকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা এসেই প্রমাণ নষ্ট করবে।