মমতার ঘটনায় বিভাজন কংগ্রেসে! দুই পক্ষের দুই মত

মমতার ঘটনায় বিভাজন কংগ্রেসে! দুই পক্ষের দুই মত

কলকাতা: গতকাল নন্দীগ্রামে আহত হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন, জানিয়েছেন কেউ বা কারা তাঁকে ইচ্ছা করে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি সহ কংগ্রেস এবং সিপিএম সকলে একযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুলছে। গতকাল এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভন্ডামীর রাজনীতি করছেন, এগুলো সবই নাটক। তবে মমতার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে খোদ কংগ্রেসের অন্দরেই! কারণ পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিং এই ঘটনায় মমতার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। 

গতকালের ঘটনা প্রসঙ্গে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সম্পূর্ণ উল্টো অবস্থান নিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং জানিয়েছেন, রাজনীতিতে এবং সভ্য সমাজের হিংসার জায়গা নেই। এই ঘটনায় যারা যুক্ত তাদের কড়া শাস্তি চেয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শারীরিক উন্নতি কামনা করে সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। অমরিন্দর সিং-এর এই মন্তব্য পরিষ্কার করে দিচ্ছে যে এই ঘটনায় কংগ্রেসের ঘরেই দ্বন্দ্ব লেগে গেছে। গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর যেভাবে এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন, তাতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি কংগ্রেসের নেতাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়ে গিয়েছে? 

আরও পড়ুন-  ‘হয়তো কিছুদিন হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে’, হাসপাতাল থেকে ভিডিও বার্তা মমতার

প্রসঙ্গত, গতকাল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছিলেন, একদিকে তিনি নন্দীগ্রামে ভোটের প্রচারে, সব সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার জন্য একাধিক নিরাপত্তারক্ষী এবং পুলিশ থাকে, সহজে তার কাছাকাছি কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু এই ঘটনা ঘটে গেল, আবার ঘটনাস্থলে পুলিশ ছিল না বলে অভিযোগ তুলছেন খোদ পুলিশ মন্ত্রী। একই সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমন করে মন্তব্য করেন, বাংলার দিদি এবং দেশের মোদী দুজনেই নাটক করতে একে অপরের পরিপূরক। গোটা ঘটনাকে তিনি নির্বাচনী প্রচার হিসেবেই দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen + four =