কলকাতা: পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বেঁধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস এমনটাই জানা গিয়েছিল। সাংবাদিক বৈঠক করে এই তথ্য দিয়েছিলেন খোদ বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে এখন নিজেদের মধ্যে আসন রফা নিয়ে কোনোরকম সংকোচ না থাকলেও আব্বাসের দলের সঙ্গে জোট নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে বাম-কংগ্রেসের। কারণ আব্বাস এমন দাবি করছেন যে সেই দাবি মানতে নারাজ হাত শিবির। সেই কারণে এখন ক্রমশ তিন হচ্ছে তিন দলের জোটের আশা।
জানা গিয়েছে, পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী আসনের তালিকা তৈরি করে ইতিমধ্যেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে দিয়েছেন এবং তার সঙ্গে দিয়েছেন আল্টিমেটাম! কিন্তু মুর্শিদাবাদ এবং মালদা জেলার কোনো আসন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে ছাড়তে রাজি নয় কংগ্রেস। আর এই জায়গা থেকেই শুরু হয়েছে যত বিতর্ক। কারণ ওই জেলাগুলি থেকেই অধিকাংশ আসন পেয়েছেন পীরজাদা। এমনকি সূত্রের খবর, এর আগে কংগ্রেসের বেশকিছু জেতা আসন সেই তালিকায় রয়েছে! তাই সেই সমস্ত আসন ছাড়ার কোনরকম পরিকল্পনা নেই কংগ্রেসের। এই কারণে পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর আবদার অবাস্তব মনে করছে তারা। সেই প্রেক্ষিতেই এখন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের জোট সমীকরণ নিয়ে জটিলতা শুরু হয়ে গিয়েছে।
সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার, সিপিএম নিজের জেতা আসন আব্বাস সিদ্দিকের দলকে ছেড়ে দেওয়াতে কংগ্রেসের সঙ্গে ও তাদের মতপার্থক্য তৈরি হয়ে গিয়েছে জোট নিয়ে। কারণ কংগ্রেস স্পষ্ট করে দিয়েছে তারা তাদের জেতা আসন কোনোভাবেই ছাড়বে না। ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, আব্বাস সিদ্দিকীর দলকে মোট ২৭ টি আসুন ছেড়েছে বামেরা যার মধ্যে সিপিএমের আসন সংখ্যা ২০! তবে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের জোট নিয়ে মুখ খুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। এককথায় দুই দল তুলোধনা করেছে এই জোটকে।