‘দিদি -মোদী উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ কংগ্রেস নেতার, উঁচু পদের বিনিময়ে সমর্থন, বিস্ফোরক আব্বাস

‘দিদি -মোদী উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ কংগ্রেস নেতার, উঁচু পদের বিনিময়ে সমর্থন, বিস্ফোরক আব্বাস

কলকাতা:  ব্রিগেড সভামঞ্চের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক আব্বাস সিদ্দিকি৷ মোদী-দিদি দু’জনের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছেন কংগ্রেসের এক নেতা। ভোটের পর উঁচু পদের বিনিময়ে তৃণমূলকে সমর্থন করবে কংগ্রেস৷ এক ঘনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ তাঁকে এমনটাই জানিয়েছেন, দাবি আব্বাসের৷ 

আরও পড়ুন-  বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে কমিশনে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ হাইকোর্টের

সিদ্দিকি আরও বলেন, গতকালই কংগ্রেসকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলাম৷  কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করব কিনা, সেই স্বাধীনতা আমাদের আছে৷ প্রসঙ্গত, গতকাল ব্রিগেডে অধীর চৌধুরীর উপস্থিতিতে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন আইএসএফ সুপ্রিমো৷ তিনি বলেছিলেন, ভাগীদারি করতে এসেছি৷ মঞ্চ থেকে নেমেও তিনি কংগ্রেসকে কড়া বার্তা দেন৷ সেই ঘটনায় অবশ্য আজ দুঃখ প্রকাশ করেন আইএসএফ এর প্রতিষ্ঠাতা৷ সেই সঙ্গে তোলেন আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ৷ 

এদিন আব্বাস বলেন, ‘‘আমি আশা করি অধীরদা গতকালের বিষয়টি খারাপ নজরে দেখেননি৷ তবে এর জন্য আমি খুবই দুঃখিত৷ আপনারা বামেদের সঙ্গে জোট করবেন কি না, সেটা আপনাদের ব্যাপার৷ আমি বামেদের সঙ্গে কী কথা বলেছি, সেটা আমার ব্যাপার৷’’ আইএসএফ সুপ্রিমো আরও বলেন, ‘‘আপনাকেও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, মানুষের স্বার্থে ভোট ভাগাভাগি রুখতে আমাকে নির্দিষ্ট কিছু আসন ছাড়া হোক৷ বদলে বাকি জায়গাগুলোতে আমি আপনার হয়ে লড়ব৷ সেখানে আমরা আসান দেব না৷ ফলে কারোরই ভোট কাটবে না৷ কিন্তু এক রাজনীতিবিদ আমাকে বলেছেন, কংগ্রেসের এক নেতা দিদি এবং মোদী উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগ রেখেছে৷ ভোটে জেতার পর বড় পদের বিনিময়ে তৃণমূলকে সমর্থন করবে৷ তবে তিনি কার কথা বলছেন, সেই নামটা অবশ্য জানাননি৷’’ 

আব্বাস জানান, এর পর থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে আইএসএফ৷ সেকারণেই কংগ্রেসকে অবস্থান স্পষ্ট করার কথা বলা হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘শুনলান প্রদীপ দা নাকি বলেছেন কংগ্রেস ৫২টা আসন পাচ্ছে৷ এখান থেকে কী ভাবে আব্বাসকে দেব? তাই যদি হয়, আমিও চাইছি কংগ্রেস স্পষ্ট ভাবে সব কথা জানাক৷ 

আরও পড়ুন- প্রার্থী বাছাই করতে বিশেষ বৈঠক বিজেপি’র, আজই প্রথম দফার তালিকা তৃণমূলের?

আব্বাসের এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই৷ তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্বের  সম্পর্ক ভালো নয়৷ অনেক কাল থেকেই এই সম্পর্ক খারাপ৷ কংগ্রেসের আদর্শ এবং গণতান্ত্রিক ভাবনার সঙ্গে যুক্ত বলেই তাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে যাননি৷ ফলে তৃণমূলকে মদত করার কোনও প্রশ্ন কংগ্রেসের তরফে থাকতেই পারে না৷ আর আমাদের হাতে ৫২টি আসন আছে, এই খবর ওঁনাকে কে দিয়েছে, সেটাও আমি জানি না৷ এটা একেবারেই বাজে কথা৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *