কলকাতা: বিষয়টি নতুন নয়। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক লোকসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে দরজায় তালা লাগিয়ে দিল বিজেপি। এই সিদ্ধান্তের সুষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যাখ্যা রয়েছে – বিজেপির একটি অংশ বিশ্বাস করে যে অনেক তৃণমূল নেতারা তাদের নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছেন এবং কেবল তাদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য এবং নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সান্নিধ্য লাভের জন্য গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন, কারণ তৃণমূল কংগ্রেস থেকে তাদেরকে বিধানসভা টিকিট না দেওয়া হতে পারে। উল্লেখযোগ্য ভাবে বলা যেতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলছেন – যারা কাজ করেছেন তাদের টিকিটের জন্য দরবার করতে হবে না। পার্টি তাদের খুঁজে নেবে।
২১ জানুয়ারি, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরে বিজেপি কর্মীদের দুই গোষ্ঠির মধ্যে একটি বড় বাদানুবাদ শুরু হয়েছিল। সংবাদে প্রকাশ, বেশ কয়েকটি গাড়ি আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে বিজেপি অফিসের ঠিক সামনে। সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা এই অপিসের ভারচুয়াল উদ্বোধন করেন। ডিসেম্বরে ওই অফিস তিনি উদ্বোধন করেছিলেন। একই দিনে, বাবুল সুপ্রিয়ের সামনে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অন্য কোন্দল শুরু হয়েছিল। ছিলেন অরবিন্দ মেননও।
এরপর বিজেপি জানায়, নেতাদের পূর্ব কার্যকলাপ খুব ভাল করে বিচার করেই তাকে দলে নিয়ে আসা হবে এবং মাফিয়া রাজের সাথে যুক্ত কোনও নেতার পক্ষে দলে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে না, বিশেষ করে যারা রাজ্যের শাসকদলের সাথে জড়িত রয়েছে। তৃণমূলের তরফ থকে পালটা প্রচার শুরু হয়েছে যে অভিযুক্ত নেতারাই বিজেপিতে যান। এরপর, বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং পশ্চিমবঙ্গের পার্টির ইনচার্জ কৈলাস বিজয়বর্গিয় জানিয়ে দেন, “আপাতত, আমরা নেতাদের গণযোগদানের দরজা বন্ধ করছি, যা গত কয়েক মাস ধরে চলছে।’’
অন্য দিকে রাজ্য বিজেপি বিষয়টি নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত। একটি অংশ মনে করছে, মুকুল রায় বিজেপিতে আসার পর তার হাত ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের অনেকেই পার্টিতে এসেছেন। পরিস্থিতি এক সময় এই অবস্থায় গিয়ে পৌঁছেছিল যে বিনা নোটিসে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আশা আটকাতে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সংগঠনকে মাঠে নামতে হয়। সেই পরিস্থিতি কী আবার তৈরি হতে চলেছে …। বিজেপিতে অন্য একটি মতামতও রয়েছে। তারা বলছেন, পৃথিবীর সব থেকে বড় রাজনৈতিক দল। এখানে এলে খাঁটি সোনাটাই থেকে যাবে। খাদ বিলুপ্ত হবে।