বিধ্বস্ত অর্পিতা, লক আপে ঘুম এল না মন্ত্রীর, কী খেলেন পার্থ-অর্পিতা?

বিধ্বস্ত অর্পিতা, লক আপে ঘুম এল না মন্ত্রীর, কী খেলেন পার্থ-অর্পিতা?

7588d30d1d8253a80773c4965b059dd3

কলকাতা: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে উদ্ধার ৫০ কোটি টাকা৷ রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রথমে প্রায় ২২ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি৷ এর পর তাঁর বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা৷ দুই ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে কোটির হাফ সেঞ্চুরি৷ সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে বিপুল সোনা, বিদেশি মুদ্রা৷ আদালতের নির্দেশে আপাতত ১০ দিনের ইডি হেফাজতে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়৷ সিজিও কমপ্লেক্সের সাততলায় পৃথক পৃথক লকআপে রাখা হয়েছে তাঁদের৷

আরও পড়ুন- অঙ্কিতার ফেরত দেওয়া প্রথম কিস্তির টাকা হাতে পেলেন ববিতা

আপাতত মন্ত্রীমশাইয়ের ঠিকানা ইডি’র অস্থায়ী লকআপ৷ একই ফ্লোরে স্থায়ী লকআপে ঠাঁই হয়েছে ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের৷ ইডি সূত্রের খবর, গত কাল গভীর রাত পর্যন্ত জেগেছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। দু’চোখের পাতা এক করতে পারেননি৷ পরে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমোন তিনি। তবে স্বাভাবিক খাওয়াদাওয়াই করেছেন। দীর্ঘ জেরা পর্বের মাঝে শুধু ক্রিম ক্র্যাকার বিস্কুট আর গ্রিন টি খেয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। পরে ভাত, রুটি ও বেগুনের তরকারি খেয়ে শুয়ে পড়েন। তবে অর্পিতা আক্ষরিক অর্থেই এদিন কিছুটা বিধ্বস্ত ছিলেন বলেই খবর। জেরার মাঝে বার দুয়েক কেঁদেও ফেলেন। সূত্রের খবর, বার বার তিনি মা ও এক আত্মীয়ের কথা বলেছেন। গতকালও খাওয়া নিয়ে বয়নাক্কা করেছিলেন অর্পিতা৷ ভাত-রুটির বদলে চেয়েছিলেন কাজু-পেস্তা খেতে৷ এদিন অনেকটাই নিশ্চুপ৷  বৃহস্পতিবারও দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে পার্থ-অর্পিতাকে।  

এদিকে, প্রশ্ন উঠেছে আর কত? এর শেষ কোথায়? ইডি-র দাবি, এটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র৷ আরও কত উদ্ধার হবে তাঁর সীমা নেই৷ টালিগঞ্জের মতো বেলঘরিয়াতেও দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য৷ ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে রাশি রাশি ২ হাজার এবং ৫০০-র নোটের বান্ডিল। এমনকী প্লাস্টিকে মুড়ে শৌচাগারেও লুকানো ছিল টাকা। এতদিন এমন দৃশ্য সাধারণত বলিউডের ছবিতেই দেখা যেত। কিন্তু এ রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি চিত্রনাট্যকেও হার মানাল। তবে কী ভাবে এই টাকা অর্পিতার কাছে এল? কে রয়েছে এর পিছনে? জেরার মুখে অর্পিতা জানান, এই টাকা তাঁর নয়৷ পার্থর কর্মীরাই মাঝেমধ্যে এসে সেখানে টাকা রেখে যেতেন। যেখানে টাকা রাখা হত, সেই ঘরে তাঁর কোনও প্রবেশাধিকার ছিল না৷  অর্পিতার আরও দাবি, তাঁর ফ্ল্যাটে মাঝেমাঝে আসতেন পার্থও। তবে কী আসছে, কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে কিছু জানা ছিল না তাঁর৷