মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না! অনিয়মের অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে

মহিলাদের ক্ষেত্রে নিয়ম মানা হচ্ছে না! অনিয়মের অভিযোগ কমিশনের বিরুদ্ধে

5280668e81099a2473a358d5c02fdf46

 

কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনে রয়েছে মহিলাদের নিজের বাড়ির কাছাকাছি বুথে ভোট কর্মীর দায়িত্ব দিতে পারবে এবং বলা হয়েছে তিনি যেন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মহিলা ভোট কর্মীদের নিজের বিধানসভা এলাকার বাইরে বহুদূরে অন্য বিধানসভা এলাকায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে এবার সরব শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। ভুরিভুরি অনিয়মের অভিযোগ তারা তুলছে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে।

তাদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের তাঁদের বিদ্যালয় এলাকার বাইরেও ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এমনকি পোলিং পার্টির চারজন ভোট কর্মীর মধ্যে একজন মহিলাকেও সেই পার্টির মধ্যে দেওয়া হয়েছে। তার মানে আগের দিন রাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তাঁকে থাকতে হবে। এইভাবে নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের তৈরি করার নিয়ম নিজেরাই অমান্য করে চলেছে বলে যুক্তি তাদের। দাবি করা হচ্ছে, মহিলারা পুরুষের মতো সমান পারদর্শী কিন্তু সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা ভাবতেই হবে। নির্বাচন কমিশন নিজেই নিয়ম মানছে না অথচ ভোট কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, চাকরি থেকে বরখাস্ত ইত্যাদির মতো অসন্মান জনক হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতে তাদের দাবি, নির্বাচন কমিশন তাঁদের এই ত্রুটিগুলি অতি দ্রুত সংশোধন করুন। না হলে ভোট কর্মীদের অধিকার রয়েছে তাদের ডিউটি প্রত্যাখ্যানের।

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনে রয়েছে মহিলাদের নিজের বাড়ির কাছাকাছি বুথে ভোট কর্মীর দায়িত্ব দিতে পারবে এবং বলা হয়েছে তিনি যেন ভোরবেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারেন। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মহিলা ভোট কর্মীদের নিজের বিধানসভা এলাকার বাইরে বহুদূরে অন্য বিধানসভা এলাকায় ডিউটি দেওয়া হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে তাঁর বিদ্যালয় এলাকার বাইরেও ডিউটি দেওয়া হয়েছে। এমনকি পোলিং পার্টির চারজন ভোট কর্মীর মধ্যে একজন মহিলাকেও সেই পার্টির মধ্যে দেওয়া হয়েছে। তার মানে আগের দিন রাতে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের তাঁকে থাকতে হবে। এইভাবে নির্বাচন কমিশন তাদের নিজেদের তৈরি করার নিয়ম নিজেরাই অমান্য করে চলেছেন। আমরা মনে করি মহিলারা পুরুষের মতো সমান পারদর্শী কিন্তু সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার কথা ভাবতেই হয়। নির্বাচন কমিশন নিজেই নিয়ম মানছে না অথচ ভোট কর্মীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, চাকরি থেকে বরখাস্ত ইত্যাদির মতো অসন্মান জনক হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। আমরা দাবি করছি নির্বাচন কমিশন তাঁদের এই ত্রুটি গুলি অতি দ্রুত সংশোধন করুন। না হলে ভোট কর্মীদের অধিকার রয়েছে তাদের ডিউটি প্রত্যাখ্যানের।’’

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ও মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘‘ভোটকর্মীদের সমস্যা নিয়ে বারবার ফোন এবং মেল করে বারবার যোগাযোগ করলেও দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসন ব্যস্ততা দেখিয়ে আমাদের সাক্ষাতের সময় দিচ্ছেন না৷ নিজেদের দূর্বলতা ঢাকার জন্য এমন পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে৷ এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি৷ উদ্ভূত সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধান দাবি করছি৷’’

আরও পড়ুন- ভোটের মুখে খাস কলকাতায় টাকা বিলি! বাম নিশানায় তৃণমূল প্রার্থী জাভেদ খান

ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য একাধিক নিয়ম এবারে যেমন শিথিল করেছে নির্বাচন কমিশন, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম লাগু করা হয়েছে। যেমন বুথের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক কেন্দ্রের বুথ যেন একতলায় হয়। এছাড়াও ভোট দানের সময়ের বৃদ্ধি ঘটনা হয়েছে। যদিও এই সময় বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে একাংশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *