কলকাতা: পুলিশের পর এবার মাস্ক নিয়ে এবার কড়া নিয়ম আনতে চলেছে কলকাতা পুর নিগম। এবার থেকে মাস্কবিহীন ক্রেতাদের কোনওরকম সবজি বা মাছ বিক্রি করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মাস্ক থাকলে তবেই নিরাপত্তরক্ষীদের থেকে অনুমতি মিলবে বাজার বা মার্কেটে ঢোকার। এমনকি ক্ষুদ্র দোকানদাররা যখন বড় মার্কেটে যাবে, তখনও মাস্ক অত্যন্ত জরুরি। না হলে সেও পাবে না কোনওরকমের শাক, সবজি, মাছ।
সম্প্রতি শহরের প্রত্যেকটি পুর এলাকায় এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রচার চালিয়েছে কলকাতা পুর নিগমব। পাশাপাশি বিভিন্ন হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং দোকানদারদের হাতেও তুলে দেওয়া হয়েছে মাস্ক। নয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কোনও ক্রেতা বাজারে ঢুকতে গেলেই আগে তাঁকে বাজারের সামনে রাখা জল এবং সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। যদি সেই ব্যবস্থা না থাকে তাহলে বিশেষ স্প্রে দিয়ে স্যানিটাইজ করা হবে। এছাড়া বাজারে যাতে বেশি ভিড় না হয়, সেই দিকেও দেওয়া হবে বিশেষ নজরদারি। একসঙ্গে একাধিক মানুষ যাতে জটলা করে বাজার কিমবা মার্কেটে না যায়, সেই বিষয়ও উল্লেখ করা হয় এই প্রচারে। এমনকি আগামী দিনে যদি শপিং মল বা দোকান খোলা হয়, সে ক্ষেত্রেও পালন হবে এই নির্দেশিকা। পাশাপাশি থাকবে থার্মাল স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থাও।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শহরে করোনা নিয়ন্ত্রণে বস্তি, লেবার কোয়ার্টার, রেল ঝুপড়ির মত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাসিন্দাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। পুরভবনে এদিন এই লক্ষ্যে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের পৌরহিত্যে হওয়া এই বৈঠকে , পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের সমস্ত আধিকারিক, ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর, কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ও সরকার ও পুরসভার মধ্যে করোনা সম্পর্কিত সমন্বয়কারী আধিকারিক ওঙ্কার সিং মীনা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে স্থির হয়েছে, প্রতিটি বোরোতে একজন ম্যানেজার ও প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে ডেপুটি ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে।
ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকার বয়স্ক লোকেদের ও তারা কি অসুখে ভুগছেন তালিকা তৈরি করবেন। সেই তালিকা অনুযায়ী ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার নিয়মিত তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেবেন। অসুস্থ হলে ওয়ার্ড স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে ওষুধের ব্যবস্থা করা হবে। শারীরিক অবস্থার প্রবল অবনতি হলে বা করোনার লক্ষণ দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা স্বাস্থ্যভবনে জানানো হবে। আপাতত এই জনঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে কড়া নজর রাখা হবে বলে মেয়র জানান।