কলকাতা: রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মী নিয়োগ সহ গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে আজ নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজেপি। সেই অভিযানের প্রেক্ষিতেই ইতিমধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। এই অভিযান সফল করার উদ্দেশ্যে এদিন শহরে আসেন কেন্দ্রীয় নেতা তথা যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য। তাঁর অভিযোগ করেন, বিজেপির অভিযান আটকানোর জন্য আজ যে জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে রাসায়নিক ছিল! যদিও, পুলিশ প্রথমেই দাবি করেছে, কোনরকম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। এবার মুখ্যসচিব স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, রাসায়নিক নয়, হোলির রং ব্যবহার করা হয়েছে জলকামানে৷
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যসচিব জানান, জলকামানের রাসায়নিক ব্যবহার করার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন৷ নীল রঙের কোনরকম রাসায়নিক নয়, জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে হোলির রং৷ তবে কেন এই রং ব্যবহার করা হয়েছে সেই প্রশ্ন ওঠায় তিনি জবাব দেন, পরবর্তী ক্ষেত্রে কাউকে চিহ্নিত করার জন্য এবং আইন ভাঙলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যই এই রঙের ব্যবহার করা হয়েছে৷ পাশাপাশি মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মিছিল করতে দিন, এমন আবেদন করা হয়েছিল৷ সেই আবেদনে সম্মতি জানানো হয়েছিল৷ একই সঙ্গে তিনি আরো বলেন, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে৷
হাওড়া পুলিশ সূত্রের দাবি করা হয়েছিল, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিজেপি কর্মীদের চিহ্নিত করতে রঙিন জল ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এর আগে কোন বিক্ষোভ মিছিলে রঙিন জলের ব্যবহার করা হয়নি। এদিকে বিজেপির তরফে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে, তাই এইভাবে গেরুয়া কর্মী সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করা হয়েছে, রাসায়নিক যুক্ত জল ব্যবহার করা হয়েছে জলকামানে। কেন্দ্রীয় সংসদ তেজস্বী সূর্য জানিয়েছেন, প্রায় ৭০০-র বেশি বিজেপি কর্মীরা আহত হয়েছেন পুলিশের লাঠিচার্জে৷
তেজস্বীর কথায়, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হলে হয় ঠান্ডা জল বা গরম জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলায় জলকামানের জল নীল! তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গায়ে সেই জল লেগেছে, তারপরে তাদের জামাকাপড়ে নীল রং হয়ে গেছে। কেন বাংলায় রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন তিনি। এমনকি, এটা কি ধরনের রাসায়নিক তা জানার পক্ষেও আওয়াজ তোলেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র একেবারেই নেই। সাধারণ প্রতিবাদ করলেও তাদের মারধর করা হচ্ছে, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপির নবান্ন অভিযান হবে বলে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যাতে কর্মী সমর্থকরা তাদের প্রতিবাদে সামিল না হতে পারেন। এইভাবে কোনো গণতান্ত্রিক রাজ্য চলতে পারে না বলে দাবি তেজস্বীর।
এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে তুলনা করতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে গুন্ডা বলেছেন তিনি! তেজস্বী জানান, বাংলা বলিদানের রাজ্য, স্বামী বিবেকানন্দের রাজ্য, সেখানে এখন অভিষেকের মতো গুন্ডার বাস! বাংলার মানুষ এই সরকারকে আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, বিজেপির প্রতিবাদ জারি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আটকাতে পারবে না। প্রথমেই তিনি বললেন, এ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে আটকানো হচ্ছে, ব্যাপক মারধর করা হচ্ছে। এভাবে কি গণতান্ত্রিক রাজ্যে শাসন চলে? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। একইসঙ্গে বলেন, বিজেপির অভিযান আটকানোর জন্য জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে নীল রঙের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে! এই নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছেন তিনি৷
তেজস্বীর কথায়, দেশে হোক কিংবা বিদেশে, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হলে হয় ঠান্ডা জল বা গরম জল ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বাংলায় জলকামানের জল নীল! তিনি বলেন, বিজেপি কর্মীদের ছাড়াও সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের গায়ে সেই জল লেগেছে, তারপরে তাদের জামাকাপড়ে নীল রং হয়ে গেছে। কেন বাংলায় রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেই নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধনা করেন তিনি। এমনকি, এটা কি ধরনের রাসায়নিক তা জানার পক্ষেও আওয়াজ তোলেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, বাংলায় গণতন্ত্র একেবারেই নেই। সাধারণ প্রতিবাদ করলেও তাদের মারধর করা হচ্ছে, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমনকি তিনি অভিযোগ তুলেছেন, বিজেপির নবান্ন অভিযান হবে বলে হাওড়া ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, জাতি কর্মী সমর্থকরা তাদের প্রতিবাদে সামিল না হতে পারেন। এইভাবে কোনো গণতান্ত্রিক রাজ্য চলতে পারে না বলে দাবি তেজস্বীর। এই প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারকে তুলনা করতে গিয়ে সরাসরি অভিষেককে গুন্ডা বলেছেন তিনি! তেজস্বী জানান, বাংলা বলিদানের রাজ্য, স্বামী বিবেকানন্দের রাজ্য, সেখানে এখন অভিষেকের মতো গুন্ডার বাস! বাংলার মানুষ এই সরকারকে আর বেশিদিন বরদাস্ত করবে না বলে দাবি করেন তিনি। সঙ্গে এও বলেন, বিজেপির প্রতিবাদ জারি থাকবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আটকাতে পারবে না৷