০/১০-এ কত পেল মমতার সরকার? ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষা

০/১০-এ কত পেল মমতার সরকার? ইঙ্গিত দিচ্ছে সমীক্ষা

কলকাতা: গত ১০ বছর ধরে রাজ্যে সরকার চালাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কি হ্যাটট্রিক হবে ঘাসফুলের, নাকি হবে পরিবর্তন। ১০ নম্বরের মধ্যে বিগত ১০ বছরের পারফরম্যান্সে কত নম্বর পাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল সরকার? সেই প্রশ্নের উত্তরের কিছুটা ইঙ্গিত দিল সিএনএক্স সমীক্ষা।

জানা গিয়েছে, ৪১ শতাংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে ১০ নম্বরে ০-৪ নম্বর দিচ্ছে। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশ মানুষ দিচ্ছে ৫-৭ নম্বর। আবার ৮-১০ নম্বর দিচ্ছে ৪১ শতাংশ মানুষ। এর পাশাপাশি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ইস্যুগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে ধরা হচ্ছে বেকারত্বকে। ২৪ শতাংশ মানুষ মনে করছেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় ইস্যু বেকারত্ব। ২৩ শতাংশ মানুষ আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলছেন। পাশাপাশি ২০ শতাংশ মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছেন উন্নয়নকে এবং ১৬ শতাংশ মানুষ গুরুত্ব দিচ্ছেন স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে। ১২ শতাংশের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে দুর্নীতি। একই সঙ্গে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে অর্থাৎ গত ১০ বছরে কোন কোন ক্ষেত্রে উন্নতি বা অবনতি হয়েছে।

সেই প্রশ্নের উত্তরে জানা গিয়েছে, ৩১ শতাংশ মানুষ মনে করছেন রাস্তাঘাটে উন্নতি হয়েছে এবং ২৫ শতাংশ মানুষের মতে অবনতি হয়েছে রাস্তাঘাটে। সরকারি হাসপাতালে উন্নতি হয়েছে মনে করছেন ২৫ শতাংশ মানুষ, এদিকে ৩৬ শতাংশ মানুষের মতে সরকারি হাসপাতালে অবনতি ঘটেছে। এর পাশাপাশি পানীয় জলের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ মনে করছেন ৪১ শতাংশ উন্নতি হয়েছে অপরদিকে ৩৯ শতাংশ মনে করছেন উন্নতি একেবারেই হয়নি। এদিকে যে ইস্যুতে বিজেপি থেকে শুরু করে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সেই আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে ১৫ শতাংশ মানুষ মনে করছেন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু ৩৬ শতাংশের মতো কোনো রকম উন্নতি ঘটেনি রাজ্যের আইন শৃংখলার।

বিধানসভা নির্বাচনের আর কয়েক সপ্তাহ বাকি। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে নির্বাচন কমিশন। তার আগে একাধিক সমীক্ষা চালিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই মুহূর্তে কোন রাজনৈতিক দল এগিয়ে বা পিছিয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে এবার সমীক্ষা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংস্থা সিএনএক্স। ২৩ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চালানো হয়েছে এই সমীক্ষা। এতে অংশ নিয়েছিলেন ৮,৯৬০ জন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *