কলকাতা: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বাম আমলে যত চাকরি হয়েছে, তার চিরকুট খুঁজে বার করতে। এই নির্দেশের কয়েকদিনের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর জয়েনিং লেটার প্রকাশ করে তৃণমূল৷ যা নিয়ে রীতিমত হইচই। তৃণমূল দাবি, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুজন-জায়া। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেজে চাকরি করেছেন তিনি। এবার এই নিয়ে তদন্ত হবে কিনা সেই বিষয়ে বড় মন্তব্য করলেন ব্রাত্য বসু। জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- ‘কোথাও পালিয়ে যাব না’, আদালতে ৫ মিনিট বলতে চেয়েছিলেন পার্থ, যা বললেন
গতকাল আদালত চত্বরে নিয়োগ কাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের একাধিক নেতার নাম নেন। তারা তাঁর কাছ একসময়ে চাকরির জন্য তদ্বির করেছিলেন বলে দাবি করেন। সেই নামের মধ্যে ছিল সুজন চক্রবর্তীর নামও। এদিকে বুধবার একটি সভায় সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেছিলেন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তী কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন তা প্রকাশ্যে আনবে তৃণমূল। পরের দিনই প্রকাশ্যে চলে আসে সেই নথি। যদিও সুজনের বক্তব্য, এটা তো জয়েনিং লেটার। সুপারিশপত্র তো নয়। তবে আজ এই বিষয় নিয়ে যে তদন্ত হতে পারে তার ইঙ্গিত দিয়েই রাখলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”পার্থকে দেখে ফের ‘চোর চোর’ স্লোগান! Slogans raised against Partha Chatterjee again” width=”560″>
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে ব্রাত্য সিপিএমকে একহাত নিয়ে বলেন, সিপিএমের প্রধান কাজ বড় বড় কথা বলা, কোনও কাজ না করে। অতীতেও তারা যেভাবে কুৎসা রটিয়েছে, বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও তারা তাই করছে। এরপরেই সুজন-জায়ার বিষয়ে মুখ খোলেন তিনি। ব্রাত্যর কথায়, তিনি গতকাল পর্যন্ত জানতেন না সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোন কলেজে চাকরি করেন। আর নথি থেকে পরিষ্কার নয়, যে ওই চাকরির ক্ষেত্রে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ হয়েছিল কিনা। তৃণমূল দাবি, পরীক্ষা ছাড়াই কলেজের চাকরিতে ঢুকেছিলেন সুজন-জায়া। ১৯৮৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলেজে চাকরি করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তাঁর বেসিক বেতন ছিল মাসে ৫৫ হাজার টাকা। এখন তিনি পেনশন ভোগী৷