মেদিনীপুর: শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর মেদিনীপুরে তাৎপর্যপূর্ণ সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদেই এদিনের সভা৷ এই সভা থেকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়েও কেন্দ্রকে তুলোধোনা করলেন তিনি৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের সব বিধায়করাই এদিন যোগ দিয়েছিলেন এই জনসভায়৷ তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে সভায় উপস্থিত ছিলেন না শুভেন্দু অনুগামীরা৷ অধিকারী পরিবারের তরফেও কেউ এই সভায় উপস্থিত থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সম্পাদক তথা শুভেন্দু অনুগামী কনিষ্ক পান্ডা৷
আরও পড়ুন- কৃষকদের পাশে ছিলাম, আছি, থাকব, নবান্নের ধান হাতে তুলে শপথ নিলেন মমতা
দেশ জুড়ে তোলপাড় করা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন আরও একবার পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকরা লড়াই করছেন৷ আজ নবান্নের ধান হাতে নিয়ে শপথ করে বলছি আমরা কৃষকদের আন্দোলনের পাশে ছিলাম, আছি আর থাকব৷’’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতবর্ষের কৃষকরা আজ বেঁচে থাকার জন্য, রুজি রুটির জন্য আন্দোলন করছেন৷ আমি সুঙ্গির, নন্দীগ্রাম, নেতাই ভুলিনি, কৃষিজীবী মানুষদের আন্দোলনকে ভুলিনি৷ আমরা অতীতকে ভুলি না৷ আগামীকাল কৃষকদের ডাকা ভারত বনধকে সম্পূর্ণ ভাবে সমর্থন করবে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কোনও বনধকে সমর্থন জানায়নি৷ বনধ করে মানুষের রুজি রোজগার বন্ধ করা আমাদের নীতি নয়৷ কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আগামীকাল কৃষকদের ডাকা ধর্মঘটকে পূর্ণ সমর্থন জানানো হবে৷
আরও পড়ুন- মন বদলালে তাঁর ব্যাপার, এ ব্যাপারে কিছু বলার নেই! শুভেন্দু প্রসঙ্গে সৌগত
এর পরেই অগ্নিমূল্য সবজির দর নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, আলু-পেঁয়াজ সহ সমস্ত সবজির দাম আকাশ ছোঁয়া৷ এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী কেন্দ্র৷ তাঁর কথায়, আগে কৃষকদের সুবিধা অসুবিধায় রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে দাঁড়াত৷ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি হলে সরকারই ভর্তুকি দিয়ে দাম ঠিক রাখত৷ কিন্তু রাজ্যের হাত থেকে সেই অধিকার কেড়ে নিয়েছে কেন্দ্র৷ দিল্লি আলু-পটল-মূলা খাচ্ছে৷ কিন্তু কিছু দিতে নারাজ তারা৷ বিজেপিকে বিঁধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে৷ অনেক টাকা ছড়ানো হচ্ছে৷ দাঙ্গা লাগানো হচ্ছে৷ কুৎসা-অপপ্রচার চলছে৷ ভারতবর্ষের মাটি থেকে তাদের উৎখাত হওয়ার সময় এসে গিয়েছে৷ হয় কৃষি বিল প্রত্যাহার করুক৷ না হলে সরকার ছাড়ুক বিজেপি৷