কলকাতা: রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বুধবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল সরকার৷ যার হাত ধরে আগামী দিনে তৈরি হতে চলেছে লক্ষ লক্ষ কর্ম সংস্থান৷ রাজ্যবাসীর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাজপুরে বন্দর তৈরির চেষ্টা করছে রাজ্য সরতার৷ এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও আবেদন জানানো হয়েছিল৷ কিন্তু কেন্দ্রের গরিমসিতে সেই কাজ হয়নি৷ তাই তাজপুরে নতুন বন্দর তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য৷ এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে৷
আরও পড়ুন- ৩৯ লক্ষ মানুষকে টাকা পৌঁছে দিয়েছে সরকার, ঐতিহাসিক মুহূর্ত বললেন মমতা
তিনি বলেন, এই কাজে কারা সরকারের অংশীদার হবে, তা পরবর্তীকালে টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিক করা হবে৷ এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যের মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি সাফল্যের পালক৷ এই প্রকল্প শুধু রাজ্যের গর্বই নয়, এই প্রকল্পের হাত ধরে তৈরি হবে কর্মসংস্থান৷ পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থিক সংস্কার, প্রচুর চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, আমদানি-রফতানি সব কিছুর জন্যই খুলে যাবে নতুন দিগন্ত৷ সবকিছু সমৃদ্ধি লাভ করবে৷ তিনি বলেন, এই প্রকল্প রাজ্যের একটা বড় সিদ্ধান্ত৷ এর ফলে আগামী দিনে প্রচুর মানুষ চাকরি পাবেন৷ পরিকাঠামো তৈরি এবং কর্মসংস্থান তৈরির লক্ষ্যে এটি একটি বড় পদক্ষেপ৷
আরও পড়ুন- BREAKING: কবে খুলবে স্কুল-কলেজ? রাজ্যে ফের পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
এছাড়াও এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত আরও কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি জানান, দীঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করা হবে৷ যেখানে জিও প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করতে চলেছে৷ এই প্রকল্প শুরু হলেও প্রচুর মানুষ কাজ পাবে৷ এখানে মোবাইল সংক্রান্ত কাজ করা হবে৷ এছাড়াও আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত হল সিলিকন ভ্যালি ইন্ডাস্ট্রি৷
আরও পড়ুন- করোনার দাপটে ফিঁকে মাদার টেরিজার জন্মোৎসবও, অনলাইনেই শ্রদ্ধা সন্তকে
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, লোকাল থেকে আইটি এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন তৈরি করতে আনা হচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ব্রড ব্র্যান্ড পলিসি, ২০২০৷ এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রকল্পেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ এই প্রকল্পেও কয়েক লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে৷ আগামী দিনে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি করা হবে৷ তিনি জানান, রেলমন্ত্রী থাকার সময় ৬৩ হাজার কিলোমিটার পথে রেলওয়ে ব্রডব্যান্ড পলিসি নিয়েছিলেন তিনি৷ যা থেকে এখনও উপকৃত হচ্ছে রেল৷