কলকাতা: দুর্গাপুজো নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বৃহস্পতিবার একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই মঞ্চ থেকে এদিন আশাকর্মী, সিভিক ভলেন্টিয়ার ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য বড়সড় ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন করোনা পরিস্থিতিতে আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালিয়েছেন। তাঁদের বেতন ১ অক্টোবর থেকে ১০০০ টাকা বেতন বাড়ানো হল। এছাড়া এই পরিস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়াররা পুলিশের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে কাজ করেছেন। তাঁদের বেতনও এদিন ১০০০ টাকা বাড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, অঙ্গনওয়ারির কর্মীরা অবসরের পর কোনও টাকা পেতেন না। রাজ্য সরকার এবার তাঁদের জন্য অবসের পর টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান অবসরের পর অঙ্গনওয়ারির কর্মীরা ৩ লক্ষ টাকা করে পাবেন। পুজোর সময় হকারদের জন্যও বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে হকারদের অবস্থা বেশ খারাপ। তাই পুজোর সময় তাঁদের পাশে দাঁড়াতে হকারদের তিনি ২ হাজার টাকা করে দেবেন। তাঁর কাছে ইতিমধ্যেই ৮৭ হাজার হকারের তালিকা জমা পড়েছে। প্রত্যেকের পরিবারকেই এই টাকা দেওয়া হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ ও বড় কমিটিকে বলেন তারা অন্য বছর যেমন ছোট পুজোগুলিকে সাহায্য করে, এবারও যেন তার ব্যতিক্রম না হয়। কিন্তু এ বছর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কার্নিভালের ওয়োজন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, বিসর্জনের সময় অল্প লোক যেন থাকে। একই দিনে যেন বিসর্জন না হয়। এ প্রসঙ্গে আইসি নজর রাখবেন। ঘাটগুলোতে আলোর বন্দোবস্ত থাকতে হবে ও ঘাটগুলি স্যানিটাইজ করে রাখতে হবে। কোনও এমার্জেনিসি হলে হেল্থ, পুলিশ, ফারার ব্রিগেড কো-অর্ডিনেশন থাকতে হবে। কোভিডের হেল্পলাইন নম্বর যেন এই সময় কাজ করে। হেল্থ ডিপারটমেন্ট ভলেন্টিয়ার বাড়াতে হবে। এ বছর কার্নিভাল না হলেও তিনি কথা দিয়েছেন পরের পছর দ্বিগুণ ধুমধাম করে হবে কার্নিভাল। এ বছর করোনার কারণে রেড রোডে নমাজ পড়া বন্ধ ছিল। স্বাধীনতা দিবসও ঠিকভাবে উদযাপন করা যায়নি। ভিড় এড়াতেই এই ব্যবস্থাগুলি নেওয়া হয়েছিল। এবার ভিড় এড়াতেই কার্নিভালও বন্ধ রাখা হল।