Heartwarming
কলকাতা: নেতাজি ইন্ডোরে ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠান থেকে নানা ঘোষণা তো করেইছেন, বিরোধীদের আক্রমণ করা থেকে শুরু করে যাদবপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খুলতেও ভোলেননি। তবে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পেরে তিনি যে কতটা আপ্লুত তা ব্যাখ্যা করেছেন নিজেই। সোশ্যাল মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন আজকের এই অনুষ্ঠান নিয়ে।
ফেসবুকে একটি লম্বা বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তবে তার মূল কথা, সম্প্রীতি, ঐক্য। শুরুতেই মমতা লিখেছেন, ‘নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান’। তারপর তিনি বার্তার প্রথমে জানিয়েছেন, ইমাম-মুয়াজ্জিন সমাবেশে বক্তব্য রাখতে পেরে তাঁর হৃদয় উৎফুল্ল। মমতার কথায়, ”আজকের এই সমাজের অস্থির সময়ে বাংলা একমাত্র রাজ্য যেখানে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের আদর্শকে সর্বদা মেনে চলা হয়। আমরা ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব, স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। যে ধর্ম দাঙ্গা-বিভেদে বিশ্বাস করে না, বিশ্বাস করে সম্প্রীতি-সৌভ্রাতৃত্বে – সেই ধর্মই আমাদের পথচলার সঙ্গী।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”এই ভূখণ্ডের জন্মলগ্ন থেকে আমরা একতার মন্ত্রে দীক্ষিত। সেই মন্ত্র আজও অনুরণিত হয় আমাদের হৃদমাঝারে।”
এর পাশাপাশি রাজ্যের সংখ্যালঘু কেন্দ্রিক একাধিক খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানান, ভারতবর্ষে সংখ্যালঘু স্কলারশিপ প্রদানে বাংলা এক নম্বর। রাজ্যে ৬০৫টি সংখ্যালঘু হোস্টেল তৈরি করা হয়েছে যার মধ্যে ৪৩৩টি ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। হোস্টেলে থাকা প্রত্যেকটি ছাত্রকে ১০ হাজার টাকা মেইনটেনেন্স ভাতা প্রদান করা হয়। এছাড়া ৬১৪টি মাদ্রাসায় ৬ হাজার ১৫২ জন শিক্ষক এবং ৪৩৩ জন অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। আরো ৪ হাজার ৭০০ জন শিক্ষক এবং ১ হাজারের বেশি অশিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
একতার বার্তা দিয়ে তাঁর এও বক্তব্য, প্রায় ৫৫১ কোটি টাকা দিয়ে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস নির্মাণ করা হয়েছে। উর্দু ভাষাকে সরকারি ভাষার স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলার জনকল্যাণমূলক প্রকল্প যথা: কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ বিভিন্ন প্রকল্প জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য প্রযোজ্য।