বাংলার কারখানায় তৈরি হবে সবুজসাথীর সাইকেল, হবে কর্মসংস্থান, চাইছেন মমতা

বাংলার কারখানায় তৈরি হবে সবুজসাথীর সাইকেল, হবে কর্মসংস্থান, চাইছেন মমতা

 

কলকাতা:  স্কুল-কলেজ বন্ধ৷ কিন্তু তা বলে কোনও প্রকল্প থেকে ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হবে, সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না বলে এদিন নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই সঙ্গে রাজ্যে সবুজসাথী প্রকল্পে সাইকেল তৈরির কারখানা গড়ার সবুজ সংকেত দিলেন তিনি৷ 

 

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবুজসাথী নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে৷ এই বছর এখনও ২ লক্ষ সাইকেল দেওয়া বাকি রয়েছে৷ অবিলম্বে তার ব্যবস্থা করতে হবে৷ এদিন তিনি সাফ বলেন, ‘‘আমি এখানে সাইকেলের কারখানা করতে চাই৷ যে সংস্থা বাংলায় কারখানা তৈরি করতে চায়, তাদেরই সাইকেল তৈরির বরাত দেওয়া হবে৷’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘বাংলায় সাইকেল কারখানা তৈরি করব আমি৷ প্রতি বছর ১০ লক্ষ ছেলেমেয়েকে আমি বিনা পয়সায় সাইকেল দিচ্ছি৷ তাহলে এ রাজ্যে সাইকেল কারখানা হবে না কেন?’’

আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোথা থেকে মাস্ক কিনছে? প্রশ্ন শুনতে নারাজ ‘স্বচ্ছ’ মুখ্যমন্ত্রী!

 

তবে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, এখানে কোনও একচেটিয়া কারবার হবে না৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি চাই অনেকে সুযোগ পাক এবং সাইকেলের মান যেন ভালো হয়৷ গুণমানের সঙ্গে কোনও সমঝোতা করা হবে না৷ টেন্ডারে সাফ বলা থাকবে, তিন বছরের মধ্যে সাইকেল খারাপ হলে সারানোর দায়িত্ব সেই কোম্পানির৷’’  

 

বর্তমানে ভিনরাজ্য থেকে সাইকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনে আনা হয়৷ তারপর বাংলায় সেই যন্ত্রাংশ জুড়ে সাইকেল তৈরি করে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাহলে বাংলায় সেই যন্ত্রাংশ তৈরি করা যাবে না কেন৷ আগামী বছরের জন্য সাইকেলের বরাত দিয়ে কারখানা তৈরির কথা বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, একটা নয়, এখানে চারটে সাইকেল কারখানাও হতে পারে৷ আমরা চেষ্টা করব যাতে, এখানে উৎপাদন হয়, কর্ম সংস্থান বাড়ে৷ এতে সরকারেরও সাশ্রয় হবে৷ 

আরও পড়ুন- DVC’র জল বাংলায় ঢোকার আগেই পরিকল্পনা, জরুরি নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এদিন কন্যাশ্রী প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়েও জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী৷ সরকারি আধিকারিক জানান, সারা বাংলায় প্রায় ৭০ শতাংশ কন্যাশ্রী ওয়ান দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ কন্যাশ্রী টু শুরু করা হয়েছে৷ ২০ শতাংশ কাজ হয়েছে৷ তবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করা হবে৷ এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে আশা কর্মীদের কাজে লাগানো যেতে পারে বলেও পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

এই বছর রূপশ্রী প্রকল্পে দরখাস্ত অনেকটাই কম জমা পড়েছে৷ তবে যতটুকু আবেদন বাকি রয়েছে, মানবিকভাবে তা ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শিক্ষাশ্রী প্রকল্পের টাকা ছাড়া হচ্ছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্কুল বন্ধ মানে এটা নয় যে, ছেলেমেয়েরা বৃত্তি পাবে না৷ মাসে মাসে তাদের কাছে বৃত্তির টাকা পৌঁছে দিতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 4 =