হুগলী: রবিবার থেকেই উত্তপ্ত ছিল হুগলীর ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া। এবার ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার। কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের সামনেই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তরজা সরকার ও বিরোধী দলের।
হুগলীর ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। চলল লুঠপাট। পুড়িয়ে দেওয়া হল বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি-র তরফে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে অভিযোগ জানালেন অর্জুন সিং, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়। এদিন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'রবিবার সন্ধের সময় তেলিনিপাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। আমি বিশেষ করে কাউকে দোষারোপ করতে চাই না। কারণ আমি একটি সাংবিধানিক পদে রয়েছি। সেখানে লুঠপাট করা হয়। বাড়ি ভাঙচুর হয়। সোনার দোকান লুঠ করা হয়। আমি সিপি-কে ফোন করেছিলাম। উনি ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বলে জানান। ১ ঘণ্টা পরে পৌঁছেছিলেন তিনি। তখন ঘটনা ঘটে গেছে।' সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে সিপি-র সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ তুলেছেন তিনি। লকেট চট্টোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, '১৪৪ ধারা সত্যিই জারি থাকলে আজ কি করে লুঠপাট চলছে? বোমা বিস্ফোরণ কীভাবে হচ্ছে সেখানে?' এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমি বলছি না, পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে না। তারা নিজের প্রাণ বাজি রেখে কাজ করছে। কিন্তু নির্দেশটা পাচ্ছে না কেন?'
পুরো ঘটনাকে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, 'এত বড় দুর্যোগের সময়েও অশান্তি করছেন? যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁরা যে-ই হোন, কঠোর শাস্তি দিতে বলেছি প্রশাসনকে। লকডাউন অমান্য করে যাঁরা অশান্তি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন আইনের পথে চলবে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি যে-ই দেবেন, তাঁর শাস্তি হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ মানুষ একটা কথা বললে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে। অনেক সামাজিক কর্মীদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর আপনাদের নেতারা টুইট করছে, ওখানে হিন্দুরা ওই করেছে, ওখানে মুসলিমরা ওই করেছে, তাঁদের জন্য কী হওয়া উচিত, এটা আমাই সাধারণ মানুষের জন্য ছেড়ে দিলাম। বিচার তাঁরা করবেন।'