কলকাতা: উৎসব শেষ হতে না হতেই এবার প্রশাসনিক পর্যালোচনায় বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী ৫ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে এই ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে৷ এই বৈঠকে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রী, সচিব, জেলা শাসক ও পুলিশকর্তাদের ভার্চুয়াল বৈঠকে হাজিরার নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর৷
রাজ্য সরকার যে সমস্ত দফতরে যে যে কাজ বন্টন করেছিল, সেই সমস্ত কাজ কতটা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতি কী রয়েছে, সেই সমস্ত কাজের খতিয়ান নিতে মূলত এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর৷ মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা এই ভার্চুয়াল বৈঠকে সমস্ত মন্ত্রী, সচিবদের থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
করোনার কারণে বেশকিছু কাজ ইতিমধ্যে থমকে গিয়েছে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেড়েছে নজর৷ এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত কাজ এতদিন ধরে নানান কারণে থকমে ছিল কিংবা করা যায়নি, সেই সমস্ত কাজ কী অবস্থায় রয়েছে, কাজের গতি কী? নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেই সমস্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে কি না, যদি সম্পূর্ণ না হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে নির্দেশ দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী৷
রাজ্যের পর্যালোচনা বৈঠকে সমস্ত দফতরের মন্ত্রী, সচিবদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷ একইসঙ্গে জেলাশাসক, আধিকারিক, পুলিশ সুপারদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷ কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হামিককেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এর আগে প্রশাসনিক বৈঠকে যে সমস্ত কাজের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তার রিপোর্ট নেওয়া হবে খবর৷ সমস্ত রিপোর্ট দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে৷ কোথায় গাফিলতি হয়েছে, কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্ত কাজগুলি কীভাবে বাস্তবায়িত করা যায়, তার নির্দেশ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, আগামী ৫ নভেম্বর ওই বৈঠকে৷
কেননা, করোনার কারণে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ ইতিমধ্যে থমকে গিয়েছে৷ নজর পড়েছে চিকিৎসা পরিষেবার ওপর৷ তারপর ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে বেশ কিছু ক্ষতি হয়েছে৷ একদিকে করোনা, অন্যদিকে আমফানের তাণ্ডব মোকাবেলার মধ্যেও রাজ্যের উন্নয়ন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷ কেননা, আগামী বছরের শুরুতে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা৷ ফলে সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে এবার করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে উন্নয়নের দিকে নজর বাড়াতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ যদিও মুখ্যমন্ত্রী নিজেই দাবি করে থাকেন, যা উন্নয়ন করার করে দিয়েছেন৷ ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে৷ ১০০ শতাংশ কাজের পরেও এই প্রশাসনিক বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷