‘শ্রম দফতরে ইন্সপেক্টর রাজ চলছে’ মন্ত্রী মলয়কে জোড় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

‘শ্রম দফতরে ইন্সপেক্টর রাজ চলছে’ মন্ত্রী মলয়কে জোড় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: করোনা আবহে ৬ মাস বাদে ফের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি৷ এদিন শ্রম দফতরের সঙ্গে কথা বলতেই চটে লাল মুখ্যমন্ত্রী৷ এদিন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের সমস্যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে অভিযোগ জানান এক আধিকারিক৷ এর পরেই জোড় ধমক খান শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ 

আরও পড়ুন- এখনই হচ্ছে না বাংলায় নির্বাচন, স্থগিত ঘোষণা নির্বাচন কমিশনের

 

এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে জানানো হয়, বছর বছর এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে প্রার্থীদের নাম রিনিউ করতে হয়৷ রিনিউ না করলেই কাটা যায় নাম৷ নিজে থেকেই পরের নামটা চলে আসে অ্যাপে৷ ফলে সমস্যায় পড়তে হয় প্রার্থীদের৷ এই সমস্যা দাওয়াই দিয়ে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের সমস্যা সমাধানে প্রতিটি জেলায় নোডাল অফিসার নিয়োগ করার সুপারিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেই সঙ্গে জোড় ধমক দেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটককে৷ বাঁকা সুরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তোমার ইন্সপেক্টররা একটু বেশি কাজ করে৷ তোমার দফতরে ইন্সপেক্টর রাজ চলছে৷ এই ইন্সপেক্টর রাজ কমাও৷ এর বদলে সুশাসনটা বাড়াও৷’’ 

 

শ্রমমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তুমি নিজেও জান তোমার দফতরের কাজ কারবার৷ কে প্রভিডেন্ট ফান্ড দিল না তা নিয়ে ঝগড়া করতে শুরু করল ইন্সপেক্টররা৷ সেকেন্ড পার্টি, থার্ড পার্টি মিটিং-এ বেশি আগ্রহ তাঁদের৷ জনস্বার্থ নিয়ে তাঁরা আগ্রহী নন৷ অনেক বিষয়েই উল্টোপাল্টা করে রেখে দিয়েছে৷ এই দফতরের খোল নলচে বদলে দিতে হবে৷ অনেক কাজই সঠিক ভাবে হচ্ছে না৷ শ্রম দফতরের পুনর্গঠন করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ২ দিনে ২০ টাকা বাড়ল পেঁয়াজের দাম, আলু লাফাল ৫ ধাপ! এবার খাবেন কী?

এর পরেই আসে মহিলা ও শিশু কল্যাণ দফতরের পালা৷ মুখ্য সচিব জানান, এই মন্ত্রকের অধীনে ৭ লক্ষ মানুষকে পেনশন দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ মাত্র কয়েক হাজার বাকি রয়েছে৷ এটা দেওয়া হলেই ১০০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আদিবাসী, তফশিলি, বিধবা, কৃষকদের পেনশন সহ যাবতীয় পেনশন যেন ছেড়ে দেওয়া হয়৷ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ অক্টোবর-নভেম্বর মাসের পেনশন ছাড়া শুরু হয়েছে৷ কেউ যেন পেনশন না আটকান, সে কথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *