কে করেছে এই লিস্ট? দক্ষিণের তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন কড়া ‘ধমক’!

কে করেছে এই লিস্ট? দক্ষিণের তালিকা দেখে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী, দিলেন কড়া ‘ধমক’!

কলকাতা: দীর্ঘ লকডাউন কাটিয়ে শুরু হয়েছে আনলক ২ পর্ব৷ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন৷ কিন্তু জনজীবন স্বাভাবিক হলেও কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা পরিস্থিতি৷ একদিকে যেমন টেস্ট বাড়ছে, ঠিক ততই বাড়ছে করোনা সংক্রমণের হার৷ আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্যে সমস্ত কনটেনমেন্ট জোনে ৭ দিনের লকডাউন কড়াকড়ি করার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ কিন্তু রাজ্যের সরকারি আমলাদের তৈরি করা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা দেখে এবার চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আজ করোনা যোদ্ধাদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্নের সভাঘরে হয় বৈঠক৷ বৈঠকের মাঝে কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কনটেনমেন্ট জোন প্রচুর মাত্রা বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ আর সেই কারণে শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার কনটেনমেন্ট জোন নতুন করে পর্যবেক্ষণ করে নতুন তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কলকাতা, হাওরা ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা ঠিকঠাক আছে বলেই সরকারি আমলাদের জানিয়েছেন মমতা৷ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা সংশোধন করে প্রকাশ করারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আজ নবান্নে বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের ওপর বেশ খানিকটা উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তালিকা দেখতে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘কে এই তৈরি করাছে এই তালিকা। আমার মনে হচ্ছে এখানে বেশি ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বারুইপুর, সোনারপুর, রাজপুর, কোন আইডিয়া আছে? ওয়ার্ড দেখে দেখে করা হয়েছে নাকি? ওখান থেকে কোভিড বেরিয়েছে? আমি সেটা জানতে চাই৷ কতজন ওখানে আক্রান্ত হয়েছে৷ যখন আমি তোমাকে লিস্ট ধরে বলছি, তখন আমি খুব ভালো চিনি৷ আমি কলকাতা নিয়ে কথা বলিনি৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা একটু বেড়েছে৷ বেশি করে ফেলেছে৷ কয়েকটা জায়গা বুথ ভিত্তিক করা হয়েছে৷ রাজপুর, সোনারপুর একটু বেশি করে ফেলেছে৷ আলিপুর সদরেও করা হয়েছে৷ আবার রিভিউ করো৷’’

এরপর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি এই বিষয়ে একমত নই৷ ভোটার লিস্ট দেখে হয়েছে নাকি এটা? খুব বাজে৷ তোমরা লিস্ট দেখেছো? দেখনি, করে দিয়েছো? আমি মুখ্য সচিবকে অনুরোধ করব, জাস্ট গো থ্রু দ্য লিস্ট৷ এখনি দেখো৷ লিস্টটা দেখো৷ ঠিকঠাক হয়েছে কি না৷ আমার দেখেই সন্দেহ হচ্ছে৷ কলকাতা দেখে আমি কিছু বলিনি৷ কলকাতা ঠিক আছে৷ কতগুলি জায়গা দেখে নাও৷ ভোটার লিস্টের নম্বর দিয়ে দিয়েছো নাকি?’’ এরপর ক্ষুব্দ হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সমস্ত ওয়ার্ড টু ওয়ার্ড করে দিয়েছে৷ রাজপুর, বারুইপুর৷ সোনারপুর, রাজপুর, ডায়মন্ডহারবার টোটালটা করে দিয়েছে৷ তার মানে, এরা দেখেইনি৷ প্রত্যেকটা কেস তোমাদের স্টাডি করতে হবে৷ কোন এলাকায় করোনা হয়েছে, দরকার হলে ওইটুকু এলাকা ঘিরে দাও৷ ডায়মন্ডহারবার দেখো, খুলে দেখো৷ আমি না পড়ে, না দেখে বলি না৷ কলকাতা নিয়ে আমি একটা কথা বলিনি৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এটা ঠিক হয়নি৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *