গোষ্ঠী সংঘর্ষে তপ্ত তেলেনিপাড়া, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

গোষ্ঠী সংঘর্ষে তপ্ত তেলেনিপাড়া, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা:  হুগলীর তেলেনিপাড়ায় অশান্তির ঘটনায় এবার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের সহযোগিতা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পুলিশকে দিয়েছে সতর্কবার্তা৷

আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৈঠক শেষ হওয়ার মুখে মুখ্যমন্ত্রী হুগলির অশান্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন৷ সাফ জানিয়ে দেন উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় পুলিশের নজরদারি আরও বাড়াতে হবে৷ এমন অশান্তি যাতে ভবিষ্যতে আর না হয়, তার জন্য পুলিশকে কড়া নজরদারি চালানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মমতা৷

হুগলী জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘হুগলীর তেলিনিপারা যে গন্ডগোল হয়েছে, যাঁদের ঘরবাড়ি পুড়ে গিয়েছে, যাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাঁদের লিস্ট আমাকে পাঠাবেন৷ আমি দেখব৷’’ এরপর হুগলীর জেলা শাসক জানান, আগামী দু’ঘণ্টার মধ্যে তালিকা তৈরি হয়ে যাবে৷ সেই তালিকা দ্রুত পাঠানো হবে৷ এরপর মুখোমুখি জানান, দ্রুত তালিকা তৈরি করে তাঁকে যেন পাঠানো হয়৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে, তাঁদের হেল্প করতে হবে৷ আমাদের কাছে সবাই সমান৷ দেখবেন, কেউ যাতে অশান্তি না করতে পারে৷ এটা মাথায় রাখবেন৷ অনেক রকম ফেক নিউজ বেরোচ্ছে৷ পুলিশকে বলছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিন৷ জেলাশাসককে বলব, ওই এলাকাগুলি নজর দিন৷ উত্তেজনা প্রবণ এলাকায় নজর দিতে হবে৷ এটা যেন দ্বিতীয়বার না হয়৷ এই সমস্ত ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে নজর রাখুন৷’’

মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠক থেকে গোটা ঘটনাকে অশান্তি সৃষ্টি চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন,‘‘এত বড় দুর্যোগের সময়েও অশান্তি করছেন? যাঁরা অশান্তি করছেন, তাঁরা যে-ই হোন, কঠোর শাস্তি দিতে বলেছি প্রশাসনকে। লকডাউন অমান্য করে যাঁরা অশান্তি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট আইন প্রয়োগ করা হবে। আইন আইনের পথে চলবে। সাম্প্রদায়িক উস্কানি যে-ই দেবেন, তাঁর শাস্তি হবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যে সাধারণ মানুষ একটা কথা বললে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে। অনেক সামাজিক কর্মীদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। আর আপনাদের নেতারা টুইট করছে, ওখানে হিন্দুরা ওই করেছে, ওখানে মুসলিমরা ওই করেছে, তাঁদের জন্য কী হওয়া উচিত, এটা আমাই সাধারণ মানুষের জন্য ছেড়ে দিলাম। বিচার তাঁরা করবেন।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =