কলকাতা: আমফান আর করোনা জোড়া বিপর্যয় মোকাবিলা করছে রাজ্য সরকার। আমফান হোক বা করোনা, মানুষের জীবন যাত্রা থেমে নেই। এরমধ্যেই মানুষকে কাজে যেতে হচ্ছে রুটি রুজির টানের। কিংবা দৈনন্দিন নানা কাজ করতে হচ্ছে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য। এই আবহে রাজ্যের উন্নতি থেমে থাকতে পারে না। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষ যাতে পরিস্রুত পানীয় জল পান, সেই লক্ষ্যে একটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের নাম দিয়েছেন জলস্বপ্ন। পাঁচ বছরের এই প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা।
স্বাধীনতার ৭২ বছর কেটে গিয়েছে। এই ৭২ বছরে এখনও বাংলার প্রতিটি মানুষের পরিস্রুত পানীয় জলের স্বপ্ন অধরা থেকে গিয়েছে। সেই স্বপ্ন স্বার্থক করতে আগামী পাঁচ বছর জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ আগামি পাঁচ বছর ধরে গ্রামবাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে। গ্রাম বাংলার প্রতিটি মানুষের কাছে যাতে পৌঁছে যায়, সেই কারণেই সময়টা বেশি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ যদিও ২০২১ সালে রয়েছে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচন৷
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলস্বপ্নের প্রকল্পের ঘোষণার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বেলেঘাটা আইডিতে সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি উৎকর্ষ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। এছাড়াও স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনে রোগ সংক্রমক এবং অ্যাডভান্স মাইক্রো বায়োলজির জন্য নতুন বিভাগ এবং প্রতিবছর ডিএম সংক্রমাক রোগ বিষয়ক রোগের জন্য আসন করা হবে। এছাড়াও প্লাজমা চিকিৎসা সহজ করার লক্ষ্যে রাজ্যে প্রথম কনভ্যালেসেন্ট প্লাজমা ব্যাঙ্ক স্থাপন করা হবে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। এতে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷