খুলছে অফিস, কিন্তু কর্মীরা যাবেন কীভাবে? বাসে ‘যত সিট তত যাত্রী’ সফরে মিলবে সুফল?

খুলছে অফিস, কিন্তু কর্মীরা যাবেন কীভাবে? বাসে ‘যত সিট তত যাত্রী’ সফরে মিলবে সুফল?

কলকাতা:  চতুর্থ দফার লকডাউনের শেষ লগ্নে কার্যত যবনিকা টেনে শুক্রবার অফিস-দোকান খোলার অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু গণ পরিবহণ পুরো দস্তুর স্বাভাবিক নাহলে মানুষ অফিসে পৌঁছবে কী করে? সে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বাড়তি ভাড়া না পেলে সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে বাস চালিয়ে লাভ নেই, এই যুক্তিতে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামাননি মালিকরা৷ ফলে এখন ভরসা শুধুমাত্র সরকারি বাস। যার সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাসে যাত্রী তোলার বিধি কিছুটা শিথিল করল রাজ্য সরকার। এদিন নতুন সেই বিধি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

জানিয়েছেন, এতদিন বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী তোলায় নিষেধাজ্ঞা ছিল৷ এবার তা বেশ কিছুটা বাড়িয়ে দিল সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাসে যতগুলি আসন ততজন যাত্রী তোলা যাবে। তবে যাত্রীদের জন্য মাস্ক ও গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক। এদিন মমতা বলেন, কিছু জায়গায় বাসে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার দাবিতে কনডাক্টরদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। এরকম হলে সেই রুটে বাস বন্ধ করে দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাসে কোনও যাত্রীকে দাঁড়িয়ে সফর করবেন না। সঙ্গে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের বিধি মানতে হবে৷

তবে মেট্রো, শহরতলির ট্রেন পরিষেবা এখনও বন্ধ। কবে থেকে তা চালু করা হবে সে সম্পর্কে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এখনও কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্য সরকার ভাড়া বাড়াতে রাজি না হওয়ায় ঝুলে রয়েছে বেসরকারি বাস চলাচল৷ এমত অবস্থায় শুধু সরকারি বাসে যাত্রী বাড়িয়ে সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি ছাড়া আর কোন লাভ হবে কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + fourteen =