এবার উত্তরকাশীতেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাঙালি পর্যটকের, দেহ ফেরানোর আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী

এবার উত্তরকাশীতেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু বাঙালি পর্যটকের, দেহ ফেরানোর আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা: গতকাল অর্থাৎ বুধবারই ভোররাতে  ওড়িশার  গুঞ্জাম জেলায় একটি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬ বাঙালি পর্যটকের। বৃহস্পতিবারই তাঁদের দেহ হাওড়ার উদয়নারায়নপুরে ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা। কিন্তু এর মধ্যেই জানা গেল ওড়িশার পর এবার উত্তরকাশীতেও পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বাংলার পাঁচ পর্যটক।

জানা যাচ্ছে, চারধাম যাত্রায় গিয়েছিলেন বাংলা ওই ৫ পর্যটক। মৃতদের মধ্যে তিনজন গড়িয়ার বাসিন্দা এবং বাকি দুজনের মধ্যে একজন উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর অন্যজন নৈহাটির বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। বুধবার বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ চারধাম যাত্রায় যাওয়ার পথে উত্তরকাশীর ৯৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তাঁদের গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। খাদের ধারের একটি পাথরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদের মধ্যেই ছিটকে পড়ে পর্যটক বোঝাই ওই গাড়িতে এবং গাড়িটি নিচে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই জ্বালানি তেলের ট্যাঙ্ক ফেটে গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়। এই দুর্ঘটনার ঘটনাস্থলেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ওই পাঁচ পর্যটকের। এই ঘটনায় যারা মারা গিয়েছেন তাঁদের নাম, মদনমোহন ভুঁইয়া (৫৩), ঝুমুর ভুঁইয়া (৪৮) এবং নীলেশ ভুঁইয়া(২১)। মৃত এই তিনজনই গড়িয়ার বাসিন্দা এবং একই পরিবারের সদস্য বলে জনা গিয়েছে। অন্যদিকে বাকি দুজন মৃতের নাম হল প্রদীপ দাস (৪৭) ও দেবমাল্য দেবনাথ (৪৩)।

বৃহস্পতিবার সকালে এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে একটি টুইটে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটবার্তায় তিনি আরো জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব নিহতদের দেহ বাংলায় তাঁদের পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, ‘মৃত ওই পর্যটকদের দেহ বুধবার রাতেই ঋষিকেশের এইমসের নিয়ে আসা হয়েছে। নিহতদের পরিজনেরা দেহ নিয়ে আসার জন্য দিল্লি থেকে ঋষিকেশে যাবেন। সেখান থেকে তাঁদের মরদেহ বাংলায় ফেরত নিয়ে আসা হবে।’ এক্ষেত্রে সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম সাহায্য করা হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে বুধবার ভোররাতে ওড়িশায় সড়ক দুর্ঘটনায় যে ৬ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের দেহ আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাংলায় এসে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সকালেই তাঁদের দেহ হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরে এসে পৌঁছয়। ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে তাঁদের শেষকৃত্যও। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *