কলকাতা: গতকাল সন্ধ্যায় বিধ্বংসী আগুন লাগে বাগবাজারের বস্তিতে। ক্রমাগত হাওয়া চলতে থাকার জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে গোটা বস্তি এলাকায়। পরপর সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকায় আশঙ্কা আরও বাড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরেও আতঙ্ক একফোঁটা কমেনি স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ সেখানে পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শশী পাঁজা সহ আরো অনেকে। সেখানে গিয়ে বস্তিবাসীদের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পুরসভা সকলের জন্য ঘর তৈরি করে দেবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে বস্তিবাসীরা।
এদিন এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আপাতত ক্ষতিগ্রস্তরা বাগবাজার উইমেন্স কলেজে থাকবেন। যতদিন পর্যন্ত তাদের জন্য নতুন ঘর তৈরী না হচ্ছে ততদিন সেখানেই থাকবেন তারা। এছাড়া প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু দেওয়া হবে এবং শিশুদের জন্য দুধ এবং বিস্কুটের বন্দোবস্ত করার কথা জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি ঠান্ডার কারণে প্রত্যেকের জন্য গরম পোশাক এবং কম্বলের ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই বলেই সকল বস্তিবাসীদের আশ্বস্ত করে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, চিন্তার কোন কারণ নেই, রাজ্য সরকার তাদের জন্য আছে।
গতকাল আগুন লাগার পর গোটা এলাকা প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ২৭টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। এদিন এলাকা পরিদর্শনে এসে দমকল কর্মী, সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ আগুন নেভানোর কাজে যুক্ত সকলের কাজের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।জানা গিয়েছে, আজ দিনভর বস্তি এলাকা সাফাই কর্মসূচি চলবে। তারপর থেকে শুরু হবে ঘর তৈরির কাজ। যার যেখানে ঘর ছিল, ঠিক সেখানেই কলকাতা পুরসভাকে ঘর বানিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।