চিনা অ্যাপের পাল্টা দিল বাংলা, ক্যামস্ক্যানারের বিকল্প ‘সেলফ স্ক্যান’ চালু মমতার

গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জেরে ৫৯টি চিনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সায় দিলেও বহু জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ বন্ধ হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়ছে দেশবাসীর একাংশ। এবার গোটা দেশের সেই সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে এগিয়ে এল বাংলা। ক্যামস্ক্যানারের বিকল্প অ্যাপ 'সেলফ স্ক্যান' বাজারে আনল রাজ্য। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নবান্ন থেকে সেই অ্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

কলকাতা: গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জেরে ৫৯টি চিনা অ্যাপের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারত। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে সায় দিলেও বহু জনপ্রিয় চিনা অ্যাপ বন্ধ হওয়ায় সমস্যার মুখে পড়ছে দেশবাসীর একাংশ। এবার গোটা দেশের সেই সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে এগিয়ে এল বাংলা। ক্যামস্ক্যানারের বিকল্প অ্যাপ 'সেলফ স্ক্যান' বাজারে আনল রাজ্য। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে নবান্ন থেকে সেই অ্যাপের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারত-চিন সংঘর্ষের জেরে গোটা দেশে চিনা পন্য বর্জনে সরব হয়েছে দেশবাসী। কেন্দ্রের তরফেও করা হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। সম্প্রতি ৫৯টি চিনা অ্যাপও ব্যান করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে টিকটক, শেয়ার ইট-এর মতো অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ ক্যামস্ক্যানারও। স্ক্যানিং অ্যাপ নিয়ে সাধারণ মানুষের বর্তমান অবস্থার কথা ভেবে এবার এগিয়ে এল বাংলাই। রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের তরফে তৈরি করা হয়েছে 'সেলফ স্ক্যান' অ্যাপটি। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরাই মনে হয় প্রথম। আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা কৃতিত্ব নিতে পারি না। কৃতিত্বটা কখনও কখনও গৌরবের সঙ্গে নিতে হয়। এটা তথ্যপ্রযুক্তি দফতর বানিয়েছে। রাজীব কুমার এবং অন্যান্যদের ধন্যবাদ।' মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেলফ স্ক্যান অ্যাপটি প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা আপনার নিজের ঘরের মতো। কেউ সেখানে গিয়ে নাক গলাতে পারবে না। পাশাপাশি আপনার গোপনীয়তাও বজায় থাকবে।'

চিনা অ্যাপের বিরুদ্ধে গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল আগেই। বাংলার তৈরি 'সেলফ স্ক্যান' সেদিক থেকে অনেক নিরাপদ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, 'আমরা রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের ডেভেলপ করা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন 'সেলফ স্ক্যান'-এর সূচনা করলাম আজ। বাজারচলতি অন্যান্য স্ক্যানিং অ্যাপের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত ও শক্তিশালী এটি। এটি ব্যবহার করা সুবিধাজনক এবং সুরক্ষিত। স্ক্যান করার পর ডকুমেন্ট এডিটও করা যাবে এই অ্যাপটির সাহায্যে। ব্যবহারকারীর কোনও তথ্য সার্ভারে জমা হয় না এই অ্যাপে। এমন একটি নিরাপদ অ্যাপ্লিকেশন সবাই বিনামূল্যেই ব্যবহার করতে পারবেন। কোনওরকম বিজ্ঞাপনও দেখা যাবে না অ্যাপটিতে।' তিনি আরও বলেন, 'এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ তৈরি করেছে। আমি প্রত্যেককে অভিনন্দন জানাচ্ছি। কোন অ্যাপ ব্যবহার করবেন কিংবা করবেন কি না, তা নিয়ে নানা রকম বিতর্ক চলছে। সেই তর্ক বিতর্কের মধ্যে না গিয়ে আমি সবসময় চাইব আমার দেশেরটা হোক।'

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 + 1 =