বিচারব্যবস্থায় রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব থাকা উচিত নয়, প্রধান বিচারপতির সামনেই বললেন মমতা

কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির একটি…

কলকাতা: কলকাতা হাই কোর্টের বার লাইব্রেরির দ্বিশতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতায় এসেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমির একটি আলোচনা সভায় যোগ দেন তিনি। ওই সভায় আমন্ত্রণিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  দু’জনকে দেখা যায় পাশাপাশি আসনে বসতে৷

 

 

বক্তব্য রাখতে উঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাকেও নিজেদের পরিবারের সদস্য বলে ভাবতে পারেন। কারণ আমিও আইনের লোক। আমি তিন-চারটি কেস লড়েছি। এখনও আমি বার অ্যাসোশিয়নের সদস্য। বিচারব্যবস্থা আমাদের কাছে পবিত্র, মন্দির-মসজিদ-গির্জা-গুরুদ্বারের মতো। সরকার বিচারব্যবস্থার সঙ্গে আছে। বিচারব্যবস্থা আমাদের সাহায্য না করলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে। যখন মানুষের জীবনে সমস্যার মধ্যে পড়ে, তখন মানুষের বিশ্বাস থাকে যে, দেশের বিচারব্যবস্থা আমাদের রক্ষা করবে।’’ এর পরেই সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘বিচারপতি চন্দ্রচূড় দেশের বিচারব্যবস্থাকে উন্নত করতে সাহায্য করছেন। বিচারব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য আমরা হাজার কোটি খরচ করেছি। ৭০ একর জমি দিয়েছি। রাজারহাটে নতুন হাই কোর্টের জন্য জায়গা দিয়েছি।’’

 

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমদের ৮৮টি ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট রয়েছে৷ এর মধ্যে ৫৫টি মহিলাদের জন্য। ৯৯টি মানবাধিকার কোর্ট আছে। আমি কাউকে আঘাত করতে চাই না। আমার কথাটা অন্যভাবে নেবেন না। আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।  কিন্তু আমার অনুরোধ, বিচারব্যবস্থায় যেন কোনও রকম রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব না থাকে। যেন খাঁটি থাকে। পুরোপুরি খাঁটি, সৎ এবং পবিত্র।” এখানে গোপনীয়তা বজায় থাকা উচিত।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *