কলকাতা: বিজেপি’র নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল সাঁতরাগাছি, হাওয়া ময়দান, হাওয়া ব্রিজ, জিটি রোড চত্বর৷ বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ছোঁড়া হয় রাসায়নিক মশানো জল কামান৷ বন্ধ করে দেওয়া হয় নবান্ন৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ৷ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷
আরও পড়ুন- রাসায়নিক নয়, জলকামানে ছিল হোলির রং: মুখ্যসচিব! তদন্ত চাইল বিজেপি
এদিন সৌমিত্র খাঁ বলেন, ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা বাংলায় আন্দোলন করলে যখন তখন আমাদের গ্রেফতার করা হয়৷ আমরা এটা দেখেছি৷ কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম দেখলাম কোনও দলের কর্মসূচি থাকলে সিএমও অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ এদিন রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মী নিয়োগ তথা পশ্চিমবঙ্গে বেকার দূরীকরণের দাবিতে নবান্ন অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বঙ্গ বিজেপি৷ টেট-ডব্লিইবিসিএস পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ডাক দেওয়া হয়েছিল৷ তাই আজ যাঁরা যুব মোর্চার সঙ্গে হাঁটলেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানান সৌমিত্র খাঁ৷ এর পরেই সুর চড়িয়ে বলেন, কেউ কি কখনও দেখেছে যুব মোর্চা আন্দোলন করছে আর সিএমও অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে? এমন ঘটনা ইতিহাসে প্রথম৷ আমরা যে কথা বলতে চেয়েছিলাম, সে কথা বাংলার যুব সমাজ তুলে ধরেছে৷ পশ্চিমবঙ্গের ‘কাটমানি ইউনিভার্সিটি নবান্ন’ থেকে মুখ্যমন্ত্রী পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ তিনি নবান্ন বন্ধ করে পালিয়েছেন৷ ৬০০-র বেশি বিজেপি’র কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিছিল করছেন, তার অনুমতি কোথা থেকে পাচ্ছেন৷ অথচ যুব মোর্চা মিছিল করলে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে৷
আরও পড়ুন- জলকামানে নীল রাসায়নিক কেন? এটাই বাংলার গণতন্ত্র? তোপ তেজস্বীর, অস্বীকার রাজ্যের
এর পরই দিলীপ ঘোষ বলেন, চাকরি ক্ষেত্রে আজ দুর্নীতি হচ্ছে৷ চাকরি পাওয়ার জন্য, ভর্তির হওয়ার জন্য টাকা দিতে হচ্ছে৷ টেট-এসএসসি নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার জবাব চাইতে গিয়েছিলাম৷ এই উত্তর জানতে চাওয়াটা বাংলার যুবকদের অধিকার৷ এ রাজ্যে ৫০ শতাংশ স্নাতকই চাকরি পায় না৷ তাঁরা বেকার হয়ে ঘুরছে৷ ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে৷ ফলে যুবারা এই দূরবস্থার কারণ জানতে চাইতেই পারে৷ কিন্তু সেই প্রশ্ন এড়াতে ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ এমনকী নবান্নে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, যে ভাবে দু’হাতে লাঠি ধরে বিজেপি কর্মীদের মারা হয়েছে কোনও পশুকেও এভাবে মারা হয় না৷ একাধিক নেতা জখম হয়েছেন৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে নৃশংস ভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়েছে৷ সব দিক থেকে হেরে গিয়ে আমাদের জীবনহানীর চেষ্টা করা হয়েছে৷ অগণতান্ত্রিক পরিবেশে স্বৈরেচারী সরকার চলছে৷ গমতান্ত্রিক আন্দোলনকে গায়ের জোড়ে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে৷