কলকাতা: রাজ্যের কেউ যেন অনাহারে না থাকে৷ শুক্রবার নবান্নে প্রশাসনিক শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে জেলা প্রশাসনকে এমনই নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকার দুস্থপরিবারগুলিকে যেন সরকারি সাহায্য থেকে বঞ্চিত না হতে হয় তার জন্য প্রত্যেক জেলায় ঘুরে সমস্ত পরিস্থিতির ওপর নজরদারির ব্যবস্থা করার কথা বলেন জেলাশাসকদের।
এই কাজে প্রশাসনিক কর্মীদের সঙ্গে অ্যক্রিয়েশন কার্ড আছে এমন সাংবাদিকরাও সঙ্গে থাকতে পারবেন। যত বেশি খবর পাওয়া যাবে, তত বেশি পদক্ষেপ করা যাবে। মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর৷ লকডাউনের ফলে যাদের রুজি রোজগারের টান পড়েছে, তাদের কাছে রেশন ঠিকমতো পৌঁছচ্ছে না৷ এদিন রাজ্যের সেই মানুষদের সবরকমভাবে সাহায্য পৌঁছে দিতে জেলাশাসকদের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন মমতা৷
একইসঙ্গে ১০০ দিনের কাজ শুরুর কথাও ঘোষণা করেন৷ ১০০ দিনের কাজের আওতায় চটকল, ইঁটভাটার মতো একাধিক ক্ষেত্রে একশো দিনের কাজ হিসেবে শ্রমিকদের যাতে কাজ করানো যায় সেবিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলেন৷ তবে এই কাজের ক্ষেত্রেও সমস্তরকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি৷ যেমন কাজের জায়গায় মুখে মাস্ক পড়ে থাকতে হবে৷ হাত সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে৷ এদিন রেশন ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা করেন তিনি৷ একমাসের রেশনে ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার ক্ষেত্রে নিয়মবিধি মানা হচ্ছে না, প্রশাসন সূত্রে এই অভিযোগ পাওয়ার পর এনিয়ে জোরদার পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ মাপ ঠিক রেখে রেশন দেওয়ার জন্য একসঙ্গে ৫ কেজির চাল ও গমের প্যাকেট পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্যাকেট তৈরীর কাজে কর্মহীন দুস্থদের নিয়োগ করার কথাও বলেন তিনি৷
এদিন এরাজ্য থেকে গিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের অর্থ সাহায্যের জন্য 'স্নেহের পরশ' প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন মমতা। এই প্রকল্পের আওতায় ১০০০ টাকা করে অনলাইনে পাঠানো হবে সেই শ্রমিকদের কাছে। সোমবার থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। এদিন ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের বিষয়ে কয়েকটি নির্দেশিকার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরলেও তাঁরা বাড়িতে ফিরতে পারবেন না। নিয়ম মেনে তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তার আগে রাজ্যে ফেরার পরেই তাদের প্রত্যেকের স্ক্রিনিং করা হবে।