হাতির হানায় মৃত্যু হলেই চাকরি! ক্ষতিপূরণ-সহ পদোন্নতির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

হাতির হানায় মৃত্যু হলেই চাকরি! ক্ষতিপূরণ-সহ পদোন্নতির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

মেদিনীপুর: জঙ্গলমহলের মানুষদের জন্য একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের সর্বপ্রধান সিধ্ন্ত হিসেবে জানানো হয়. হাতির হানায় মৃত্যু হলে মৃতের পরিবারকে সহায়তা করার পাশাপাশি পরিবারের একজনকে স্পেশাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন ঝাড়গ্রাম মেদিনীপুরসহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন অংশে হাতির হানায় মানুষ মারা যান। আড়াই লক্ষ টাকা করে আংশিক সহায়তা পেলেও পরে তাদের দিকে কেউ তাকিয়েও দেখে না। বিপন্ন সেই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতেই এই সিদ্ধান্ত। তবে হাতির হানায় মৃত্যু নিয়ে জঙ্গলমহলের মানুষ বেশ রুষ্ট বন দফতর ও রাজ্য সরকারের ওপর। সেই ক্ষোভ প্রশমনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

তিনি এদিন বলেন জঙ্গলমহলে এমন অনেক পরিবার রয়েছেন যাদের অনেকেরই সদস্য মাওবাদীদের হাতে খুন হয়েছেন বা নিখোঁজ। সরকারের তরফে ওই সমস্ত ব্যক্তি যারা মৃত বা যাদের কোনও খোঁজ মেলেনি, যারা ফিরে আসেনি, তল্লাশি চালিয়েও যাদের পাওয়া যায়নি, তাদের পরিবারের কথা ভেবেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দশবছর ধরে নিখোঁজ এমন ব্যক্তিদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে স্পোশাল হোমগাড়ের চাকরি দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মাওবাদী এলাকায় সন্ত্রাস মোকাবিলায় যে সমস্ত স্থানীয় যুবক যুবতীদের জুনিয়র কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ করা হয় তাদের মধ্যে তাদের চাকরিজীবনের পাঁচ বছর পূরণ করেছেন তাদের কনস্টেবল পদে উন্নীত করা হয়েছে। মাওবাদীদের মোকাবিলায় তাদের অবদানকে স্বীকৃতি জানাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানান মমতা। তিনি জানিয়েছেন এবছরই ৪২৮৪ জনকে কনস্টেবল পদে উন্নীত করা হয়েছে। জঙ্গলমহলের চারটি জেলা থেকেই ভাগে ভাগ এই পদোন্নতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিন মমতা জানান জঙ্গলমহলের বিভিন্ন কলেজে এখন সাঁওতালি ভাষাতে অনার্স পড়ানো শুরু হয়েছে। এজন্য সবং কলেজের অধ্যক্ষকে বিশেষ সম্মাননাও দেওয়া হয়। পস্ছিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় এই ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানান কর্ণগড়ের মন্দির সংস্খারের জন্য এক কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × five =