স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুবিধা পাবেন ১০ কোটি

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, সুবিধা পাবেন ১০ কোটি

কলকাতা: আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে একের পর এক নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের কটাক্ষকে উপেক্ষা করেই চলেছে সরকারি প্রকল্পের কাজ। ‘দুয়ারে সরকার’ থেকে শুরু করে ‘স্বাস্থ্য সাথী’, ভোটের আগে সফল মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত প্রকল্প।

সম্প্রতি রাজ্যের প্রতিটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে। ‘চোখের আলো’ নামের রাজ্য সরকারের সেই নতুন প্রকল্পের সূচনা হল আজ থেকে। আর সেই সঙ্গে আরো একবার উঠে এল পূর্ববর্তী একাধিক সরকারি প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান।

এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সূচনার সঙ্গে সঙ্গেই ‘দুয়ারে সরকার’, ‘পাড়ায় সমাধান’ ও ‘স্বাস্থ্য সাথী’র মতো কর্মসূচি গুলির সাফল্যের খতিয়ানও প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে দুয়ারে সরকার পাড়ায় সমাধান প্রকল্পের সাফল্যের উপর তৈরি একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ডকুমেন্টারি ফিল্মও দেখানো হয় এদিন। রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা এই প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়ে পরিষেবা প্রদান করেছেন, তাই ছিল ডকুমেন্টারির মূল প্রতিপাদ্য।

২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের চোখের সমস্যা দূর করতে উদ্যোগী সরকার আজ থেকে শুরু করবে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের কাজ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সামান্য থেকে গুরুতর, যে কোনো রকম চিকিৎসাই নিখরচায় পাবেন মানুষ। মূলত গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র তথা প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছতেই এই নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। জানা গেছে রাজ্য জুড়ে মোট ৩৪১টি সরকারি ক্যাম্প গঠিত হবে ‘চোখের আলো’ প্রকল্পে। ‘দুয়ারে সরকারের’ মতোই এই প্রকল্পেও মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে পরিষেবা। রাজ্যের পড়ুয়া তথা চল্লিশোর্ধ সকল ব্যক্তি পাবেন সরকারি চশমা। প্রায় ৫০০০০ চশমা বিলি করা হবে সরকারের তরফে। এছাড়া, সকলের জন্যেই থাকবে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষার ব্যবস্থা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকারের ‘স্বাস্থ্য সাথী’ প্রকল্পের সুবিধা পাবেন বাংলার ১০ কোটি জনতা৷ বাংলার প্রতিটি মানুষ এই সুবিধা পাবেন বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *