কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের যে পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে সে ছিল নদীয়ার বাসিন্দা। সোমবারই নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তার বাবা-মা। সন্তানহারাদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, মৃতের মায়ের চাকরি এবং ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, নিহত ছাত্রের স্মৃতিতে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নামকরণও করা হবে। এমনটাই খবর নবান্ন সূত্রে।
গত ৯ অগাস্ট রাতে আচমকা হস্টেলের এ২ ব্লকের তিন তলার বারান্দা থেকে নীচে পড়ে যান ওই ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি৷ পরের দিন ভোরে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। সেই রাতে ওই ছাত্রের উপর অত্যাচার করা হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছে৷ ওই পড়ুয়া নিজে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, নাকি তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ এই অবস্থায় নবান্নে গিয়ে ছাত্রের বাবা-মার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরী সহ ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছে। তারা এখন আছে জেল, পুলিশ হেফাজতে।
অন্যদিকে আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি চিঠি পাঠানোর ঘটনায় এক ‘অধ্যাপক’ গ্রেফতার হয়েছেন। গত শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় যাদবপুর থানায় মামলা রুজু করা হয়৷ তার দু’দিনের মাথায় হল এই গ্রেফতারি। বেলগাছিয়ার এক মহিলার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।