কলকাতা: স্বয়ংক্রিয় দরজায় হাত আটকে যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ মৃত মেট্রো যাত্রী সজলকুমার কাঞ্জিলালের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েন মমতা৷ কসবা এলাকার ওই বাসিন্দার পরিবারকে প্রয়োজনে চাকরির আশ্বাস মমতার৷ যা ঘটেছে তা মর্মান্তি বলেও জানান মমতা৷ কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা জানতে রিপোর্টে চেয়ে পাঠিয়ে রেলমন্ত্রক৷ ঘাতক মেট্রোর চালক ও মোটরম্যানকে সাসপেন্ড করা করা হয়েছে৷
শনিবার সন্ধ্যায় ভিড় মেট্রোয় উঠতে গিয়ে যাত্রীর হাত দরজায় আটকে গেলেও ছুটতে শুরু করে মেট্রো৷ চলন্ত মেট্রোয় হাত আটকে যাওয়ায় টানেলের দেওয়ালে ধাক্কা খান ওই যাত্রী৷ ছিটকে পড়েন থার্ড লাইনে৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই যাত্রী৷ পরে, মেট্রো থামিয়ে ওই যাত্রীর উদ্ধারের চেষ্টা করা হলেও ততক্ষণে মৃত্যু হয় ওই তাঁর৷
Kolkata: A high-level inquiry has been ordered & an inquiry committee has been set up by the metro authorities in the incident where a man died after a metro train at Park Street station started moving with his hand stuck in the gates, around 6:40 pm today https://t.co/CDRnHZVOhc
— ANI (@ANI) July 13, 2019
এদিন সন্ধ্যা ৬:৪৫ নাগাদ ঘটনাটি ঘটে পার্ক স্ট্রিট ও ময়দান স্টেশনের মাঝে৷ পার্ক স্ট্রিট থেকে ট্রেনটি রওনা দেওয়ার পর দেখা যায় এক যাত্রীর হাত দরজায় আটকে যায়৷ দেহ বাইরে ঝুলতে থাকে৷ ওই অবস্থায় ছুটতে থাকে মেট্রো৷ পরে টানেলের মধ্যেই বিটার শব্দ পান যাত্রীরা৷ থমকে যায় মেট্রো৷ বন্ধ হয়ে যায় এসি৷ ছড়িয়ে পড়ে তীব্র পোড়া গন্ধ৷ মুহূর্তের মধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে মেট্রোয় থাকা যাত্রীদের মধ্যে৷ ওই অবস্থায় প্রায় ২০ মিনিট থমকে থাকে মেট্রো৷ পরে, বিষয়টি বুঝতে পেরে জখম ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে আনা হয়৷ পরে তাঁর মৃত্যু হয়৷ এই ঘটনার পরই বাকি যাত্রীদের চালকের কেবিন হয়ে বের করে আনা হয়েছে৷ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ৷