কলকাতা: করোনা আবহে এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে পরিচয় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বেশ কিছু বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘দুর্দিনে যারা তাড়িয়ে দেয়, সেখানে যাবেন কেন৷ এখানেই কাজ করুন৷ বাইরে যাওয়ার দরকার কী আছে? আমরা বলেছি, ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে৷ এটা ঠিক, আমরা এখনই হয়তো একসঙ্গে দু’লক্ষ লোকের কাজ দিতে পারব না৷ তবে ধাপে ধাপে হবে৷ ১০০ দিনের কাজে প্রয়োজনে পরিযায়ী শ্রমিকদের কাজে লাগাতে হবে৷ দুর্দিনে কেউ তাড়িয়ে দিলে সম্পর্ক রাখবেন না৷ আমরা ১০০ দিনের কাজে গুরুত্ব দিতে বলেছি৷ ১০০ দিনের শ্রমিক বাড়ানো হবে৷ পরিযায়ী শ্রমিক চাইলে কাজ করতে পারেন৷’’
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্ষুদ্র, মাঝারি ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে৷ জীবন-জীবিকা রক্ষা করতে হবে৷ সেই অনুযায়ী আমরা সমস্ত পরিকল্পনা রুপায়ন করার চেষ্টা করছি৷ শ্রমিকদের কাজের জন্য বিড়ি ও চা বাগানের শ্রমিকদের ৫০% কর্মী দিয়ে কাজ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাইরে থেকে এলে ডিএম, এসপিদের জানান৷ প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে৷ ১০০দিনের কাজে গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে৷ প্রয়োজনে ১০০ দিনের কাজে শ্রমিক বাড়াতে হবে৷ ১০০ দিনের কাজে পরিচয় শ্রমিকদের কাজে লাগাবো৷ দুর্দিনে তাড়িয়ে দিলে কোনও সম্পর্ক রাখবেন না৷ রেশন কার্ড না থাকলে আমরা কুপনের ব্যবস্থা করছি৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর দিয়ে মাস্ক ও গ্লাফ তৈরি করবে৷ সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা চলছে৷
এদিন ফের কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জানান, ‘‘করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আমরা না হয় সরকারি কর্মচারী ও শিক্ষকদের বিষয়টা দেখে নেব৷ কিন্তু অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কী হবে? লকডাউনের জন্য তিন মাসের আগাম পরিকল্পনা নিতে হবে৷ দু’মাস ধরে সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷’’
বলেন, ‘‘কেন্দ্রের থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে৷ এখনও ৫২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া আছে কেন্দ্রের কাছে৷ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এখনও বকেয়া৷ কেন্দ্রের কাছে এই পরিস্থিতিতেও দেনা শোধ করতে হচ্ছে৷ আমাদের বিপুল খরচ হচ্ছে৷ কেন্দ্র বলছে, এখন করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে৷ এখন করোনা যাবে না বলে মনে হয় না৷ আপাতত তিন মাসের জন্য স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা করা দরকার৷’’