কলকাতা: রাজ্য সরকার এবং রাজ্যপাল দ্বন্দ্ব পশ্চিমবঙ্গে নতুন কিছু নয়। এর আগে একাধিকবার প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত লেগেছে। রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে শুরুর দিকে সরকারের বনিবনা হলেও এখন সেই সম্পর্ক কার্যত নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের ভূমিকা সংক্রান্ত ইস্যুতে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যেই এসেছে। এবার সেই সংঘাতের উত্তাপ সরাসরি গিয়ে পড়তে পারে উত্তরবঙ্গে। কারণ সেখানে প্রায় একই সময়ে উপস্থিত হচ্ছেন দুজনে। মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল।
রবিবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারের লক্ষ্যে কোচবিহারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সোমবার দার্জিলিংয়ের রাজভবন যাবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দুজনের এই সফর নিয়ে উত্তরবঙ্গের রাজনীতির উত্তাপ বাড়তে পারে বলেই মনে করছে রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সম্প্রতি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সংঘাত বেড়েছে সরকার এবং রাজভবনের। পাশাপাশি রাজ্যপালের ‘পিস রুম’ চালু করা, বিজেপির সুরে সুর মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করার মতো ঘটনা সংঘাতের উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে। ফলত উত্তরবঙ্গেও এর প্রভাব পড়বে বলেই ধারনা।
এই মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপাল সংঘাত এতটাই বেড়েছে এখন যে পাটনার বিরোধী বৈঠকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার রাজ্যপালকে নিশানা করেন। নাম না করে রাজ্যপাল বোসের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তারা পশ্চিমবঙ্গে থেকেও কোনও ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর কথা শোনেননি, কিন্তু তিনি তা পালন করে ফেললেন।