নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট: তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত বালুরঘাটে গঙ্গারামপুর৷ ভোটের আগে তৃনমুলের দুই গোষ্টীর মধ্যে পুরানো বিবাদের জেরে সংঘর্ষ৷ চলল গুলি৷ জনতার রোষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এলাকার তৃনমুল নেতা তথা জেলাপরিঢদের কর্মাধক্ষ কালিপদ সরকারের। গুলি লেগে আরও এক তৃণমূল কর্মী সঞ্জিত সরকারেরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর৷
মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার গংগারামপুর থানার উত্তর নারায়নপুরে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে একদিকে জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্তের নেতৃত্বে বালুরঘাট থেকে বিরাট পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ে আসার জন্য রুট মার্চের পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে এলাকার নেতা কালিপদ সরকারের মৃত্যুর খবর পেয়ে প্রচুর তৃনমুল কর্মী সমর্থকেরা গংগারামপুর হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। জানা গিয়েছে, উত্তরনারায়নপুরে পার্টি অফিসে সঞ্জিত সরকার ও অনান্যরা ক্যারাম খেলছিল। সেই সময় তৃনমুল নেতা কালিপদ সরকার সেখানে আর ও তার তিন চার সংগী নিয়ে এসে পুরানো একটি ঘটনা নিয়ে সঞ্জিত সরকার ও অন্যদের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ এই সময় হঠাৎ তৃনমুল নেতা কালিপদ সরকার সঞ্জিত সরকারকে লক্ষ করে গুলি চালালে তার মাথায় গুলি লাগে। এরপরেই স্থানিওরা তা দেখতে পেয়ে কালিপদ সরকারকে ধরার জন্য তাড়া করে। কালিপদ সরকার প্রানভয়ে দৌড়াতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। যদিও এই ঘটনাকে গোষ্ঠীকোন্দল বলে স্বীকার করতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ৷ তার মতে এটি দুর্বৃ্ত্তদের কাজ৷