র‍্যাগিংয়ের পাশাপাশি ‘তোলাবাজি’ করত অভিযুক্তরা! যাদবপুর নিয়ে নয়া তথ্য

র‍্যাগিংয়ের পাশাপাশি ‘তোলাবাজি’ করত অভিযুক্তরা! যাদবপুর নিয়ে নয়া তথ্য

কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুতে র‍্যাগিং নিয়ে বড় বড় অভিযোগ সামনে এসেছে। তা নিয়ে তদন্ত শুরু হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে থাকা প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আরও এক অভিযোগ উঠল। মৃত ছাত্রকে র‍্যাগিং করার ‘হোতা’ সে এমন জানতে পেরেছে পুলিশ। তাদের কাছে আরও তথ্য এসেছে যেখান থেকে জানা যায়, শুধু র‍্যাগিং নয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘তোলাবাজি’ করত সৌরভ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সৌরভ চৌধুরী ও তাঁর ‘গ্যাং’ হস্টেলের মধ্যে টাকা তোলার কাজ করত। 

ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই একাধিক পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাদের থেকেই তারা জানতে পেরেছে এই ‘তোলাবাজি’র কথা। পুলিশ জানিয়েছে, সরাসরি টাকা নেওয়া হত না। ডিজিটাল পদ্ধতিতে টাকা দিতে হত নবাগত পড়ুয়াদের। যারা হস্টেলে নতুন আসত তাদের পারিবারিক আর্থিক স্বচ্ছলতা সম্পর্কে জেনে সেই হিসেবে টাকা চাওয়া হত। আর টাকা পেলেও শুরু হত দেদার পার্টি, খাওয়া-দাওয়া। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, সৌরভ এবং তার সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন এই টাকা নেওয়ার কাজ করত। অনেক সময়ে কেউ টাকা না দিলে চলত মানসিক বা শারীরিক অত্যাচার। 

এই বিষয়ে জানার পর পুলিশ তো বটেই, বাকি সকলেই অবাক। এতকিছু ঘটে চলেছে দীর্ঘদিন ধরে, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কেউ কিছু জানে না এটা কেউই বিশ্বাস করতে পারছে না। স্বাভাবিকভাবেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ বাড়ছে। প্রসঙ্গত, যাদবপুর কাণ্ডে প্রথমে গ্রেফতার করা হয় সৌরভ চৌধুরীকে। তারপর গ্রেফতার করা হয় দীপশেখর দত্ত, মনোতোষ ঘোষকে। এর পর একে একে গ্রেফতার সপ্তক কামিল্যা, অসিত সর্দার, মহম্মদ আরিফ, সুমন নস্কর, অঙ্কন সর্দার, মহম্মদ আসিফ আজমল নামে ৬ পড়ুয়া। শুক্রবার রাতে নতুন করে গ্রেফতার নাসিম আক্তার, হিংমাশু কর্মকার, সত্যব্রত রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + 6 =