কলকাতা: কলকাতায় এক্সাইড মোড়ের ব্যস্ত রাস্তা৷ সেখানেই ফুটপাতের ধারে পড়ে এক যুবক৷ তাঁর বুকের উপর বুট পরা পা তুলে দিয়েছে আর এক যুবক৷ মাটিতে ফেলে বুকে-পিঠে একের পর এক লাথি মেরেই চলেছে৷ একবার দেখা গেল বুট পায়ে ওই যুবকের বুক একেবারে ঠেসে ধরেছেন তিনি৷ তাঁর পরনে সবুজ রংয়ের পোশাক৷ তিনি কলকাতার সিভিক ভলেন্টিয়ার বা ‘গ্রিন পুলিশ’৷ মাটিতে পরে থাকা যুবক নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও পারেনি৷ বারবার তাকে লাথি মেরে শুইয়ে রেখেছেন গ্রিন পুলিশ৷ এই ছবি দেখে আঁতকে উঠেছে মহানগর৷ কারণ আর যাই হোক, এই ছবি দেখতে একেবারেই অভ্যস্ত নয় কলকাতা৷
আরও পড়ুন- উত্তুরে হাওয়ার দাপটে নামছে পারদ, শীতের আমেজ ভেস্তে নিম্নচাপের ভ্রূকুটি
রবিবার রবীন্দ্রসদন এক্সাইড মোড়ে ঘটনাটি ঘটি৷ সেই সময় ডিউটিতে ছিলেন গ্রিন পুলিশ তন্ময় বিশ্বাস৷ উপস্থিত ছিলেন সাউথ ট্র্যাফিক গার্ডের কর্মীরাও৷ তন্ময় অবশ্য গোটা ঘটনার কথাই স্বীকার করে নিয়েছেন৷ ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা জানান, এদিন হাওড়াগামী একটি চলন্ত বাস থেকে এক মহিলার ব্যগ ছিনতাই করে পালাচ্ছিল ওই যুবক৷ তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে জনতা৷ তাদের হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে আনেন তন্ময়৷ কিন্তু ওই যুবক ফের পালানোর চেষ্টা করলে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারতে শুরু করেন ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার৷ কিন্তু ওই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছেন কলকাতার মানুষ৷
ভয়াবহ এই দৃশ্য তখন অনেকেই ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছে৷ ওই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়া যায়৷ শুরু হয় সমালোচনার ঝড়৷ কলকাতা পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমি এই ঘটনায় বিব্রত। দুঃখিত। রাতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’’ তিনি আরও জানান, ওই সময় কর্তব্যরত ট্রাফিকের সমস্ত অফিসারদের সোমবার সকালে তাঁর অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে৷ তাঁদের সামেন কী ভাবে এই অমানবিক ঘটনা ঘটল, তা জানতে চাওয়া হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের তদন্তও হবে।