নয়াদিল্লি: সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই খবরে আসছে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে নতুন শর্তের কথা। নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মই যে মুখ্য শর্ত, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই শর্তের কথা জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক। এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুসারে নাগরিকত্ব পেতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ধর্মবিশ্বাসের প্রমাণপত্র।
শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে দিতে প্রমাণ দিতে হবে আবেদনকারী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন। নতুন আইনের এমনই খসড়া প্রস্তুত করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক ওই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যাঁরা নতুন আইনের অধীনে নাগরিকত্ব চান, তাঁদের প্রমাণ করতে হবে যে তাঁরা অমুসলিম এবং হিন্দ, শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন ও পারসি এই ৬টি ধর্মের যে কোনও একটিতে বিশ্বাস রাখেন। নতুন আইনের নিয়মাবলীতেই এই শর্ত উল্লেখ করা থাকবে। একইসঙ্গে প্রমাণ করতে হবে যে, তাঁরা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ সালের আগে ভারতে এসেছেন।
এছাড়া, অসমের ক্ষেত্রেও বেশ কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, অসমের ক্ষেত্রে নাগরিকত্বের জন্য আবেদনের সময়সীমা মাত্র ৩ মাস। ওই সময়সীমার মধ্যে আবেদন না করলে নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে না। যদিও অসমের বেশ কিছু অঞ্চলকে এই নতুন আইনের আওতা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে সূত্রের খবর।
সিএএ-র প্রতিবাদে যেখানে বিরোধীদের মূল যুক্তি এই আইন ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজনের আইন যা ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থী। এই আইন বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন এখনও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরল, পঞ্জাব ও রাজস্থানের পর দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও পাস হয়েছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-বিরোধী প্রস্তাব। যদিও কেন্দ্র আগেই জানিয়ে দিয়েছিল, এই আইন রদ করার প্রশ্নই ওঠে না এবং উল্টে এব্যাপারে যে রাজ্যগুলি বিধানসভায় এই আইন বিরোধী প্রস্তাব পাস করেছে তা অসাংবিধানিক। কিন্তু এক্ষেত্রে বিরোধীদের দাবি যে কতটা যুক্তিসঙ্গত এবার সেই দাবিতেই শিলমোহর দিতে চলেছে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ।