কলকাতা: দেহরক্ষীর মৃত্যুর মামলায় এবার আরও চাপ বাড়ল বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ওপর। এবার এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে রাজ্যের তদন্তকারী দল, সিআইডি। সূত্রের খবর, তদন্তকারীরা প্রয়োজনে শুভেন্দু অধিকারীকে আইনি নোটিশ পাঠিয়ে এই মামলার প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করতে পারেন। তাই অবশ্যই যে এই মামলায় শুভেন্দু ছাড়াও বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের অস্বস্তি বাড়ল তা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা বলেন, ৬-৭ বছর শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর স্বামী৷ কী ভাবে তিনি আচমকা গুলিবিদ্ধ হলেন? কেনই বা তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে এত দেরি করা হল? এফআইআর-এ একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন সূপর্ণা৷ কিন্তু কেন তিনি আড়াই বছর মুখ বুজে রইলেন? জবাবে সূপর্ণা জানান, শুধুমাত্র আতঙ্কে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি৷ তিনি এটাও মনে করেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি হয়তো সুবিচার পাবেন৷ তাই শুক্রবার সকালে কাঁথি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সূপর্ণা৷ তাঁর নিশানায় রয়েছেন বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সুত্রের খবর, সূপর্ণা চক্রবর্তীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিআইডি। প্রয়োজনে তাঁর বয়ান রেকর্ডও করা হবে।
আরও পড়ুন- ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে এখনই সিবিআই নয়! জানাল হাইকোর্ট
তবে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুখ খুলে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে বলেছেন, ঘটনার আড়াই বছর পর কেন এত তৎপরতা দেখানো হচ্ছে, তা তিনি জানেন না। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর দাবি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে তিনি দাবি করেন, পুলিশ দেখিয়ে ভয় দেখানোর চেস্টা করা হচ্ছে, তবে লাভ নেই। নন্দীগ্রামে তাঁকে হারিয়েছেন তাই কয়েক মাস জেলে যেতে হবে, এমনই মনে করছেন শুভেন্দু। তাই তিনি এই জানান, তিনি সেই নির্দেশ মেনে নেবেন! এদিকে, কুণাল ঘোষ টুইট করে লিখেছিলেন, ”দিলীপ ঘোষ, আপনি বা আপনার কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই মহিলা বা তাঁর পরিবারকে চেনে? আপনার নেতার দেহরক্ষী ছিলেন এই মহিলার স্বামী। একবার ওনার আবেদনে নজর দিন”।