শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে ফের শান্তিকুঞ্জের সামনে CID

শুভেন্দুর প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর তদন্তে ফের শান্তিকুঞ্জের সামনে CID

কলকাতা: প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যুর ঘটনায় ফের শান্তিকুঞ্জের সামনে সিআইডি৷ এই নিয়ে দ্বিতীয় বার শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির দোড়গোড়ায় পৌঁছল তদন্তকারী দল৷ 

আরও পড়ুন- নাড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ সৌমিত্রের! বললেন, ‘লড়াইটাই আসল কথা’

২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হন শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ তিনি যে ব্যারাকে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন সেটি শান্তিকুঞ্জের ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় অবস্থিত৷ এটি গ্যারেজ বাড়ি হিসাবে পরিচিত৷ দু’দিন আগে এই বাড়ির দোতলার ঘরে এসেছিল সিআইডি-র টিম৷ আজ ফের সেখানে পৌঁছয় তাঁরা৷  পুলিশ লাইনে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই তাঁরা কথা বলেছেন৷ যাঁরা কাঁথি থেকে বদলি হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ পাশাপাশি যে ঘরে শুভব্রত গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সেই ঘর খতিয়ে দেখছেন অফিসাররা৷ ঘরের ছবিও তোলা হচ্ছে৷ 

এর আগের দিন কাঁথি থানা থেকে সিআইডি অফিসাররা মামলার নথি সংগ্রহ করেছিলেন৷ এদিন শান্তিকুঞ্জের বাড়ির  সামনে ভিডিওগ্রাফি করা হয়৷ দুই নিরাপত্তারক্ষীকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণও করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷ গত  ৭ জুলাই শুভব্রতর স্ত্রী কাঁথি থানায় যে অভিযোগ দায়ের করেন, তার ভিত্তিতেই তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি৷ প্রথম দিন মহিষাদলে শুভব্রতর বাড়িতে গিয়েছিল সিআইডি টিম৷ দ্বিতীয় দিন তাঁরা যান কাঁথি থানায়৷ আজ শান্তিকুঞ্জের সামনে যে ব্যারাকে শুভব্রত থাকতেন সেখানে পৌঁছন অফিসাররা৷ খুনের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ আগের দিন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে গিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও কথা বলেছিল সিআইডি অফিসাররা৷

আরও পড়ুন-রাজ্যপালের ‘গোপনীয়’ দিল্লি সফর ঘিরে বাড়ছে জল্পনা

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তী৷ তাঁর স্ত্রী সূপর্ণা বলেন, ৬-৭ বছর শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তাঁর স্বামী৷ কী ভাবে তিনি আচমকা গুলিবিদ্ধ হলেন? কেনই বা তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসতে এত দেরি করা হল? কিন্তু কেন তিনি আড়াই বছর মুখ বুজে রইলেন? জবাবে সূপর্ণা জানান, শুধুমাত্র আতঙ্কে মুখ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি৷  সূপর্ণা বলেন, শুভেন্দু অধিকারী প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ তাই এতদিন তিনি চুপ করেছিলেন৷ কিন্তু পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় সাহস পেয়েছেন৷  
  

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 + ten =