‘মেরি সহেলি’র সহায়তায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব প্রসূতির!

‘মেরি সহেলি’র সহায়তায় চলন্ত ট্রেনে সন্তান প্রসব প্রসূতির!

 

মালদা: গর্ভবতী মহিলার ডাক শুনে হাজির ‘মেরি সাহেলি’৷ কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ব্যবস্থা করা হল চিকিৎসার৷ হাজির চিকিৎসক থেকে নার্সেরা।  মালদা টাউন স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থামতেই তৈরি করা হল কোচের ভিতরে অস্থায়ী প্রসব ঘর। সেখানেই মা জন্ম দিলেন স্বাভাবিক পুত্র সন্তান। খুশির হাওয়া রেল যাত্রী, থেকে আরপিএফ, রেল চিকিৎসক ও কর্মীদের মধ্যে। বর্তমানে মা ও সন্তান মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাতৃমা বিভাগে চিকিৎসায় রয়েছেন। মা ও ছেলে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন।

আরপিএফ সূত্রে জানা যায়, অসমের ডালগাঁও থানার অন্তর্গত বড়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা নাসিরুদ্দিন আলি ও তার গর্ভবতী স্ত্রী জামিলা খাতুন। ০২৫১০ ডাউন গোহাটি বেঙ্গালুরু স্পেশাল ট্রেনে করে অসম থেকে ব্যাঙ্গালোর যাচ্ছিলেন। এসি ২ এর বি কোচ এর ১৩ ও ১৪ নম্বর সিট তাদের ছিল। জামিলা খাতুন গর্ভবতী ছিলেন। মালদা টাউন স্টেশনে ট্রেনটি ঢোকার মুহূর্তে তার অস্বাভাবিক প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গেই তারা রেলের হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানায়।

মালদা টাউন স্টেশন ম্যানেজার বিষয়টি শুনামাত্রই আরপিএফকে বিষয়টি জানায়। আরপিএফ এর মহিলা ‘মেরি সহেলি’ টিম রেলের ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে নিয়ে মালদা টাউন স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে দ্রুত চলে আসে। ট্রেনটি যখন মালদা টাউন স্টেশনে ঢুকে, তখনই ওই টিম মহিলার কাছে পৌঁছে যায়। প্রসব যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে কোচের ভিতরই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হয়৷ সেখানে ডাক্তার নার্স সহযোগিতায় সন্তান জন্মগ্রহণ দেন জামিলা খাতুন।

বুধবার দুপুরে মালদা টাউন স্টেশন আরপিএফ ইন্সপেক্টর ভি বি শর্মা জানান, ‘‘কোচের ভিতরে পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ দেন জামিলা খাতুন। পুত্র সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি থাকায় রেল চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী আমরা রাতেই রেলের অ্যাম্বুলেন্স করে মা ও ছেলেকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’’ সেখানে তারা দু’জনই ভর্তি রয়েছেন বর্তমানে দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। অন্যদিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে জামিলা খাতুন বলেন, ‘‘মেরে সাহেলি না থাকলে জীবন বিপন্ন হতে পারত আমার এবং আমার সন্তানের।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − two =