কলকাতা: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আবহে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে রূপ নিয়েছে তাতে অশনি সংকেত দেখছে সকলেই। মনে করা হচ্ছে নির্বাচনের পর আরও বেলাগাম হতে পারে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে আজ জরুরি বৈঠক করলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা স্বাস্থ্যকর তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন তিনি। এই বৈঠক একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কলকাতা এবং শহরতলীতে ১,০০০ করোনা বেড বৃদ্ধি করা হবে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ২২০ টি বেড নিয়ে গঠন করা হবে কোভিড ওয়ার্ড। এছাড়াও এম আর বাঙ্গুর, বালটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে করোনা বেড বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এদিন স্বাস্থ্য অধিকার তাদের পাশাপাশি সমস্ত সরকারি হাসপাতালে আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিবের এই বৈঠকে। উপরিউক্ত হাসপাতালগুলি ছাড়া অন্য শহরে এবং শহরের বেশিরভাগ হাসপাতালের বেড বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শহর কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে বলেও ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে।
গতকালই ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন যে, উত্তীর্ণ ভবন এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম সেফ হোম হবে। উত্তীর্ণতে থাকবে ৪০০ বেড এবং গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে থাকবে ২০০ বেড। সেফ হোমে থেকে যদি কোন রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে, তাহলে তাকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উত্তীর্ণ ভবনের মত কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, আনন্দপুর, গীতাঞ্জলি সবেতেই হবে সেফ হোম। আপাতত উপসর্গহীন এবং অল্প উপসর্গের রোগীদের এখানে রাখা হবে। বাইরে থাকবে কমপক্ষে ১০ টি অ্যাম্বুলেন্স এবং চালু করা হবে নতুন একটি হেল্পলাইন নম্বর। সেফ হোমে থাকা কোনো রোগীর যদি শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে তাহলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে এখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে। ফিরহাদ জানান, অনেক আগেই এই জায়গা গুলো নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতি একটু নিয়ন্ত্রণে আসায় তখন করা হয়নি। তবে এখন পরিস্থিতি যেহেতু জটিল দিকে যাচ্ছে তাই এই সেফ হোম গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।