কলকাতা: আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ দেওয়া নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। কোথাও আবার স্বজন পোষণের অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাজ্য প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, দুর্নীতি নিয়ে কোনও রেয়াত করা হবে না। যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷
মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসনকে পাঠানো নির্দেশে বলেছেন, আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্যের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার পাশাপাশি দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়া ২ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। ত্রাণ পাওয়া মানুষের নামের তালিকা বিডিও অফিসের বাইরে প্রকাশ্যে টাঙিয়ে রাখতেও বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর নির্দেশিকা জারি করেছে।
শনিবার ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন রাজ্যপাল। পর পর দুটো টুইটে ধনকড় জানিয়েছেন, ত্রাণ বিতরণ নিয়ে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যত দ্রুত সম্ভব কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এখন আলোচনা করে বা বৈঠক করে বিবৃতি দেওয়াকর সময় নেই। যারা অন্যের ত্রাণ ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়া সময় এখন। এরপরেই টুইটে লেখেন, যাঁরা এই অন্যায় করতে সাহায্য করেছেন, তাঁদের কেও কাঠগোড়ায় তুলতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ না নিলে, মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাবে।
ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ ও ক্ষতিপূরণের জন্য সাদা কাগজে আবেদন করতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। কোনরকম ফর্ম প্রয়োজন হবে না। এই ভাবে প্রাপ্ত প্রতিটি দরখাস্ত জেলা স্তরে তৈরি টাস্কফোর্স সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে বলেও রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড়ে ত্রাণ ক্ষতিপূরণ বন্টন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি অবিলম্বে এ ব্যাপারে কঠোর ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন।