কলকাতা: ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছেন। কিন্তু মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। এদিকে, উনি বলছেন, কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। কী কাজ করছে, রাজ্যের টাস্ক ফোর্স? জিনিসপত্রের অগ্নিমূল্য কেন? রাজ্যের হেল্প-লাইন কাজ করছেন। একটাই নম্বর কেন? ১০ নম্বর থাকা উচিত ছিল।
সারা দেশে ২১ দিন লক ডাউনের মাঝে আর্থ সামাজিক অবস্থা ঠিক রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ হাজার কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। দিলীপের বক্তব্য, আপদকালীন সময়ে চালানোর জন্য, গৃহস্থের বাড়িতেও ২০০-৪০০ টাকা থাকে। ওর (রাজ্যের) কি ২০০ – ৪০০ কোটি টাকাও নেই? চালাতে পারছেন না? হাসপাতালের নার্সরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। মাস্ক নেই। গাড়ি নেই। কিভাবে সেবা করবেন। বাজারে জিনিসপত্র তিন-চার গুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। উনি রাজনীতি করছেন। ওর টাস্ক ফোর্স কী কাজ করছে।
দিলীপের বক্তব্য, 'দিদিকে বলো' তে এত গুলি ফোন নম্বর। আর করোনা হেল্প লাইন ১ টা নম্বর। তাও সব সময় ব্যস্ত থাকে। বলা হচ্ছে, বিডিও কে ফোন করো। কজন বিডিও কে ফোন করতে পারে। উত্তর প্রদেশ সরকার বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। উনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলে গাঁওনা শুরু করেন। অন্য রাজ্য গুলি তো গাঁওনা গাইছে না। কোনও বিপর্যয় হলেই ওর ইলেকশন ফান্ডের কথা মনে হয়।
দিলীপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী প্যাকেজের কথা বলেছেন। সেই টাকা পাওয়া যাবে। উনি বলছেন , রেশনে সব পাওয়া যাবে। কই, কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। মাঝে রেশন দোকানে যাওয়াটা পথে পুলিশের ডাণ্ডা খেতে হচ্ছে। অফিসাররা কি করছেন? দেড় লাখ সিভিক ভলান্টিয়ার কী করছেন। তারা কী পার্টির কাজ করতে ব্যস্ত। এখন তো ট্রাফিক নেই। তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কেন খবর নিচ্ছেন না। তারা কেন দোকান ঘুরে দেখছেন না। টাস্ক ফোর্স নাকি দোকানে ঘুরে জিজ্ঞাসা করে চলে আসছে, মাস্ক আছে? দোকানদার বলছেন নেই। ব্যাস এই পর্যন্তই। দিলীপের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বরং রাজনীতি বন্ধ করে প্রশাসনে মন দিন।