কলকাতা: নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে নরমে-গরমে একাধিক বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বিভিন্ন জেলার ডিএম, বিডিও, এসপিদের সঙ্গে কথাও বললেন তিনি৷ কাজে গাফিলতির অভিযোগে এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন বারুইপুরের এসপি রশিদ মুনির খান৷
আরও পড়ুন- বাংলার কারখানায় তৈরি হবে সবুজসাথীর সাইকেল, হবে কর্মসংস্থান, চাইছেন মমতা
সোমবার নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বলেন, ‘‘সময়টা কি কম দিচ্ছ? প্রোমোশন হয়ে যাবে, এখান থেকে চলে যাব, এসব ভেবে সময় কম দিচ্ছ না তো?’’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে হস্তক্ষেপ করলে হয়তো ঘটনা ঘটতোই না৷ কিন্তু তুমি ইন্টারফেয়ার একটু কম করছ৷ আগে এটা করতে না৷ বিষয়টা খেয়াল রাখবে৷’’ ক্যানিং, বারুইপুর, ভাঙরের মতো এলাকা অত্যন্ত সংবেদনশীল বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি৷ অবশ্য এর জবাবে এসপি রশিদ মুনির খান বলেন, সম্পূর্ণ সময়েই দিচ্ছেন তিনি৷ কাজে গাফিলতি নেই তাঁর৷
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ সরকার কোথা থেকে মাস্ক কিনছে? প্রশ্ন শুনতে নারাজ ‘স্বচ্ছ’ মুখ্যমন্ত্রী!
এদিন, নবান্নের ভার্চুয়াল বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আরও একবার উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এই জেলায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না কেন, তা জানতে চান তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘‘জেলা পরিষদের সভাধিপতি বা বিধয়করা নিজেদের এলাকায় যত্ন নিচ্ছেন তো?’’ এমনকী উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিস্থিতি কেন নিয়ন্ত্রণে আসছে না, তা আরবান ডিপার্টমেন্টের কাছেও জানতে চান তিনি৷ এছাড়াও এদিন বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে বিভিন্ন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ স্পষ্ট করে দেন সরকারের অবস্থান৷ জেলায় বিভিন্ন কাজের জন্য দায়িত্ব বণ্টও করে দেন তিনি৷