কলকাতা: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি হচ্ছে৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে নাজেহাল স্বাস্থ্য দফতর৷ চিকিৎসা নিয়ে বাড়ছে নানান অভিযোগ৷ এবার এই পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে বাংলার স্বাস্থ্য পরিষেবা সেরা বলে গর্ব অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকে কাজ করারও বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কমেছে সরকারি দফতরে হাজিরা৷
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন৷ আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি দফতরে ৫০ শতাংশ কর্মচারীর উপস্থিতির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ রাজ্য সরকারের দফতরগুলিতে আগে দুই শিফটে ৭০ শতাংশ উপস্থিতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ ভিড়ে যাতে যাতায়াত করতে না হয়, সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই শিফটে ভেঙে দেন কর্মচারীদের সময়৷ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে সরকারি দফতরে উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনেন৷ এরপরেই তিনি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ছুটি পেয়ে ঘুরতে যাওয়ার কোনও দরকার নেই৷ যতটা সম্ভব ঘরে থাকতে হবে৷ বেশি বাজারে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই৷ বাজার থেকেই করোনা অনেকাংশে ছড়াচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন৷ একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এখন থেকে সপ্তাহে একদিন সমস্ত সরকারি দফতরে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হবে৷
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি অফিসের আধিকারিকদের জানিয়েছেন, যদি ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা সম্ভব৷ তবে যেন তাই করা হয়৷ কারণ এতে সংক্রমণ কম হবে৷ বৃহস্পতিবার বৈঠকে পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলায় অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২,৭৪৭৷ বাংলায় করোনা রোগীর সুস্থের হর একসময় ৬৭ শতাংশ হয়ে গেলেও বর্তমানে তা ৬০.৬ শতাংশে হয়ে গিয়েছে৷ এর কারণ হিসেবে তিনি মনে করছেন, বাংলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে৷ পাশাপাশি সুস্থ হতে কমপক্ষে ১৪ দিন সময় লাগছে৷
তিনি জানিয়েছেন, করোনায় সুস্থ হয়ে গেলে চিকিৎসকরা যেন ১৪ দিনের আগে ছেড়ে দেন৷ এর ফলে করোনায় বেডের সংখ্যার ভারসাম্য বজায় থাকবে৷ বাংলায় মোট এক হাজার জনের করোনায় মৃত্যু হয়েছে বুধবার পর্যন্ত৷ তারমধ্যএ ৮১৫ জনের কো-মর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷ কোমবিটি বলতে মূলত রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট জনিত রোগ, কিডনির রোগ ও ক্যানসার থাকলে ধরা হচ্ছে৷